চট্টগ্রামে চুরি করা শিশুকে বেচল ৩০ হাজার টাকায়, ধরা পড়ল শিশু চোর

তিন বছরের শিশু জেমি নানীর সঙ্গে কুমিল্লা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রামের খালার বাসায় আসছিল। একই ট্রেনে উঠেন জয়নুল আবেদীন প্রকাশ সুমন (২৭) নামের এক যুবক।

নানীর কোলে কান্নার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জেমিকে কোলে নেন সুমন। একপর্যায়ে আলাপচারিতার ঘনিষ্ঠতায় নানীর গন্তব্যস্থল জেনে নেন। নিজেও একই গন্তব্যে যাওযার কথা বলে তাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হন জয়নুল।

পরে ইপিজেড সড়ক পার হয়ে কলসিদীঘি রোড ঢুকার সময় পেছন থেকে কোলে থাকা শিশু জেমিকে নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যান জয়নুল। পরে সেই শিশুকে ফেনীর এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ৩০ হাজার টাকায় দত্তক দেন।

সেই ঘটনার দুমাস পর অপহৃত শিশু জেমিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-বন্দর) শাকিলা সুলতানা। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের বন্দর থানায় এ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে শিশু চুরি করে ৩ চোর ধরা খেল হবিগঞ্জে

উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-বন্দর) শাকিলা সুলতানা বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর শিশু জেমি অপহরণের পরদিন তার বাবা জুয়েল বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী শিশু দমন আইনে মামলা করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশের একটি টিম।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে সোর্স মারফতে জানতে পারি, অপহৃত জেমিকে ফেনী সদর থানার জনৈক আমেনা আক্তার প্রকাশ খালেদার কাছে ৩০ হাজার টাকায় দত্তক দেয় অপহরণকারী সুমন। এসময় শিশু জেমিকে তার শ্যালিকার মেয়ে পরিচয় দেন। পরে দত্তক নেওয়া পরিবারের সহায়তায় জোরারগঞ্জ থানার বারইয়ারহাট এলাকা থেকে আসামি জয়নুল আবেদীন প্রকাশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে করা হয়।

ডিসি শাকিলা আরও বলেন, সাম্প্রতিক শিশু অপহরণ ঘটনা বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া উচিত। অভিভাবকরা সচেতনতা থাকলে শিশু অপহরণের ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!