চলন্ত ট্রেনে মাঝপথে স্টাফদের মারামারি, ৩ ঘণ্টা দেরিতে চট্টগ্রাম পৌঁছল ট্রেন

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছেন রেলওয়ে স্টাফরা। রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে ট্রেনটি লাকসাম স্টেশনে প্রায় আধঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল। একারণে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায় রাত ৯টার দিকে। ঘটনার পর রেলওয়ের ট্রেন লাইটিংয়ে নিয়োজিত স্টাফদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কুমিল্লা থানার লাকসাম স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটির পাওয়ার কার অপারেটরের দায়িত্বে ছিলেন মো. সেলিম। ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে কসবা স্টেশনে পৌঁছলে রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী তফাজ্জল হোসেন বাবুল তার মেয়ে ও নাতনিকে ট্রেনের পাওয়ার কারে তোলার জন্য সেলিমকে চাপ দেন। কিন্তু সেলিম তাদের পাওয়ার কারে তুলতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর ট্রেনটি লাকসাম স্টেশনে পৌঁছালে তফাজ্জল হোসেন বাবুলসহ ২৫-৩০ জন মিলে সেলিমের ওপর হামলা করে।

আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি—ভূত যখন সর্ষের ভেতর

পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেনি কোনো পক্ষ। ঘটনার পর থেকে লাকসাম স্টেশন ও চট্টগ্রামে একাধিক বৈঠকে হলেও সমাধান হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাকসাম রেল স্টেশন মাস্টার মো. সাহাবউদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঘটনার সময় আমি স্টেশনে ছিলাম না।

যোগাযোগ করা হলে লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ঘটনার পর আমি উভয়পক্ষকে শান্ত করি। এ ঘটনায় তাদের অভিযোগ করার জন্য বলা হলেও কোনো পক্ষ অভিযোগ করেননি। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সমাধান করবে বলে জানিয়েছেন তারা।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!