চট্টগ্রাম মেডিকেলে ওষুধ বেচে আয়া, গাইনি ওয়ার্ডে দালাল ধরা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে মো. সাহাব উদ্দিন (২৮) নামে এক দালালকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালের পঞ্চম তলার ৩৩ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক সাহাব উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা থানার ধামসার গ্রামের মিয়াবাড়ির মৃত মো. জাহের মিয়ার ছেলে। তিনি নগরের কোতোয়ালি থানার লালদীঘির পাড়ের আমানিয়া বোডিংয়ে থাকেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আশেক আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সাহাব উদ্দিন নামে প্রতারণাচক্রের এক দালালকে আটক করা হয়েছে। আজ (বুধবার) সকালে হাসপাতালের পঞ্চম তলার ৩৩ নম্বর গাইনি ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, হাসপাতালে সংঘবদ্ধ দালালচক্র বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছদ্মবেশে কাজ করে। তারা টেস্ট এবং ওষুধেরর জন্য রোগীর স্বজনদের কৌশলে নিয়ে যায় পছন্দের ল্যাব ও ফার্মেসিতে। তাদের কথা না শুনলে রোগী ও স্বজনদের পড়তে হয় নানা হয়রানির মুখে।

বিশেষ করে গাইনি ওয়ার্ডে বেশ তৎপর থাকে চক্রের সদস্যদের। উন্নত চিকিৎসার প্রলোভনে সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় বড় অঙ্কের টাকা। অথচ এই হাসপাতালে স্বল্প খরচে হয় রোগীর চিকিৎসা।

এছাড়া হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মাচারীদের সঙ্গে রয়েছে দালালদের যোগাযোগ। এসব কর্মচারীর মধ্যে রয়েছে আয়া। রোগীর কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন আয়ারা। পরে এসব ওষুধ টাকার বিনিময়ে দালালের হাতে তুলে দেন।

অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার নিয়ন্ত্রণও এই সিন্ডিকেটের হাতে। হাসপাতালের ট্রলি আর হুইলচেয়ার ব্যবহারের জন্য সেবাগ্রহীতাদের গুনতে হয় টাকা। যদিও এই সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। রোগীদের মোবাইল ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরিসহ রোগীর স্বজনদের অজ্ঞান করে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ওই চক্রের বিরুদ্ধে। এর আগেও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে একাধিক দালালকে বিভিন্ন অভিযোগে আটক করা হয়। তবুও হাসপাতালে কমেনি তাদের আনাগোনা।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!