চট্টগ্রাম বন্দরে বড় চালান ধরা, সোডা অ্যাশ লাইটের নামে বেনারসি শাড়ি-লেহেঙ্গা

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার বড় চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণায় চালানটি নিয়ে আসে আজিজ এন্টারপ্রাইজ নামের এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। চালানে প্রায় ১ কোটি ৪১ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (১০ এপ্রিল) ৪০ ফুটের এই কনটেইনারে শাড়ি ও লেহেঙ্গা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় চট্টগ্রাম কাস্টমস। এর আগে কনটেইনারটি জাহাজে থাকা অবস্থায় চালানটি লক করে কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংস করা হলো ১১ কনটেইনার মাছ সুপারি জুস খেজুর

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ফেনীর আজিজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কম শুল্কের সোডা অ্যাশ আমদানির মিথ্যে ঘোষণায় উচ্চ শুল্কের ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার এক কনটেইনার চালান চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে গত ৪ এপ্রিল কনটেইনারটি জাহাজে থাকা অবস্থায় চালানটি লক করে কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। এরপর কনটেইনারটি জাহাজ থেকে নামানোর পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে কনটেইনারে শাড়ি ও লেহেঙ্গা পাওয়া যায়।

এসময় ১২ হাজার ৫৫০ পিস বেনারসি শাড়ি, ১ হাজার ১৩৯ পিস জর্জেট শাড়ি ও ৪০৩ পিস লেহেঙ্গা উদ্ধার করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে কাস্টমসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক আলোকিত চট্টগ্রাম বলেন, কম শুল্কের পণ্য আমদানির মিথ্যে ঘোষণায় উচ্চ শুল্কের কাপড় আমদানি করে আজিজ এন্টারপ্রাইজ। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। মিথ্যে ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!