খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না—চট্টগ্রামে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০ ফেব্রুয়ারি

শিশুদের মৃত্যুর ঝুঁকি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় একযোগে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা সব কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী।

কর্মশালায় জানানো হয়, এবারের ক্যাম্পেইনে মোট ৮ লাখ ৪ হাজার ৫৬৪ জন শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৯১ হাজার ৯১৮ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ ১২ হাজার ৬৪৬ জন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ ৫ জুন শুরু

নগরের সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮১ হাজার এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রামের মোট ৪ হাজার ৮৩১টি কেন্দ্রে একযোগে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ১৬টি, ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র ১৫টি এবং অস্থায়ী কেন্দ্র ৪ হাজার ৮০০টি।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি ও ভিটামিন-এ এর অভাবজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সিভিল সার্জন আরও বলেন, যেকোনো টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। এছাড়া ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবে। তবে ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে শিশুদের পেট যেন খালি না থাকে সেদিকে সচেতন থাকতে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন তিনি।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!