চট্টগ্রামে করোনা: ৪ ল্যাব কেড়ে নিল সাতের সুফল

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি ল্যাবে করোনা শনাক্তের হার খুব বেশি হয়নি। তবে এই ৮ ল্যাবের সুফল চাপা পড়েছে বাকি ৪ ল্যাবের বাড়তি শনাক্তের হারে।

বাড়তি শনাক্তের হার হওয়া ৪ ল্যাব হলো— চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, মা ও শিশু হাসপাতাল, আরটিআরএল এবং ইপিক হেলথ কেয়ার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪৮ নমুনা পরীক্ষায় ৮৪ জন পজিটিভ হন। শনাক্তের হার ৩৪.২৮ শতাংশ। মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫৯ নমুনা পরীক্ষায় ২১ জন, শনাক্তের হার ৩৫.৫৯। আরটিআরএল ল্যাবে ২১ নমুনা পরীক্ষায় ১০ জন, শনাক্তের হার ৪৭.৬২ শতাংশ। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৭৯ নমুনা পরীক্ষায় ৩৪ জন, শনাক্তের হার ৪৩.০৪ শতাংশ।

অর্থাৎ চার ল্যাবেই শনাক্তের হার ৩৪ থেকে ৪৭ শতাংশ!

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় ‘ভিন্ন’ চিত্র: এক উপজেলায় শূন্য, অন্যটিতে অর্ধশত

অথচ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত তালিকার বাকি সাতটিতে শনাক্তের হার অনেক কম। এর মধ্যে বিআইটিআইডি ল্যাবে ৬৬৮ নমুনা পরীক্ষায় ১২৮ জন পজিটিভ হন। শনাক্তের হার ১৯.১৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৩২ নমুনা পরীক্ষায় ৮৭ জন, শনাক্তের হার ২০.১৪ শতাংশ। সিভাসু ল্যাবে ২৮২ নমুনা পরীক্ষায় ১০ জন, শনাক্তের হার ৩.৫৫ শতাংশ। শেভরন ল্যাবে ২১২ নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জন, শনাক্তের হার ১২.৭৪ শতাংশ। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩৩ নমুনা পরীক্ষায় ৩ জন, শনাক্তের হার ৯.১১ শতাংশ।

এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ১৯ নমুনা পরীক্ষায় ৪ জন পজিটিভ হয়েছেন। শনাক্তের হার ২১.১০ শতাংশ। অপরদিকে ১৯৭টি অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩০ জনের দেহে করোনা পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৫.২৩ শতাংশ। এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

২৪ ঘন্টায় ২ হাজার ২৫০ নমুনা পরীক্ষা করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৮ জন। গড় শনাক্তের হার ১৯. ৪৬ শতাংশ।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৭৯ জন নগরের এবং ১৫৯ জন উপজেলার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় ‘ভিন্ন’ চিত্র: এক উপজেলায় শূন্য, অন্যটিতে অর্ধশত

আক্রান্তদের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলার ১ জন, সাতকানিয়ায় ৩ জন, বাঁশখালীর ১১, আনোয়ারার ১৫ জন, চন্দনাইশের ৪ জন, পটিয়ায় ৫ জন, বোয়ালখালীর ২৯ জন, রাউজানের ৪৯ জন, ফটিকছড়ির ৩ জন, হাটহাজারীর ৬ জন, সীতাকুণ্ডের ৩১ জন এবং মিরসরাইয়ে ২ বাসিন্দা রয়েছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১ করোনা রোগী। এর মধ্যে ৪ জন নগরের এবং ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!