চট্টগ্রামে এক এলাকায় পানি জমি আছে সপ্তাহজুড়ে, কাউন্সিলর জেনেও সুরাহা নেই

নগরে বৃষ্টি নেই, সকাল থেকে কড়া রোদ; এরপরও জমে আছে পানি! এ চিত্র ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের লক্ষ্মী মাঝির বাড়ির গলির। একদিন কিংবা দুদিন নয়, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জমে আছে পানি। এতে প্রতিদিন ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

সরেজমিন দেখা গেছে, লক্ষ্মী মাঝির বাড়ির গলির শুরু থেকে নুর ছায়া ভবন পর্যন্ত জমে আছে নোংরা পানি। এই পানি মাড়িয়েই চলাচল করছে এলাকার মানুষ। এছাড়া নিচতলার কিছু বাসা-বাড়িতেও পানি জমে আছে। পানি ঠেকাতে সৈয়দ টাওয়ারের সামনে ফেলা হয়েছে কংক্রিটের বস্তা।

স্থানীয়রা জানান, এলাকার ড্রেনগুলো আবর্জনায় ঠাসা। পরিষ্কারের বালাই নেই। কবে-কখন পরিষ্কার করা হয়েছে সঠিক কারো জানা নেই। স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানোর পরও হচ্ছে না সমাধান।

এলাকার বাসিন্দা মো. ওয়াজিউল্লাহ বলেন, কী আর বলব, চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। এলাকার এক পক্ষ ব্যক্তি উদ্যোগে রাস্তা উঁচু করতে চাইলেও অন্য পক্ষের বাধার কারণে হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুদি দোকানি বলেন, বর্ষায় হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায় আমাদের এলাকা। রাস্তা উঁচু করা হলেও বিভিন্ন এলাকার অলিগলি উঁচু করা হয়নি। ফলে সুফল মিলছে না। এছাড়া ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।

এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে বির্জা খালে দেওয়া বাঁধ এলাকার বিভিন্ন অলি-গলিতে পানি জমে থাকার অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেন কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম।

তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার আমার দায়িত্ব। তবে খালে ড্রেনের পানি যাওয়া বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে। সম্প্রতি সিডিএর বোর্ড সভায় সদস্য হিসেবে এসব নিয়ে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, দুমাস পর কথা বলতে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন এলাকার জমে থাকা পানিগুলো যদি পাম্প দিয়ে বের করে দেওয়া হতো তাহলে দুর্ভোগ কমতো। আমার ওয়ার্ডের ওমর আলী মাতব্বর লেইনের বিভিন্ন এলাকার অলিগলি ও নিচতলার বাসা-বাড়িতে পানি জমে আছে। মানুষকে জবাব দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। মেয়র মহোদয় ও সিডিএ চেয়ারম্যানকে সমস্যার বিষয়ে অবহিত করেছি।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!