চট্টগ্রামে আবাসিকেই দেহ ব্যবসা চলে তরুণীদের চাকরির টোপ—ফাঁদে ফেলে

চাকরি দেওয়ার নামে কৌশলে নারীদেরকে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করার অভিযোগে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন সামার হিল আবাসিক এলাকা থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ

গ্রেপ্তাররা হলো- কুমিল্লার লাকসাম থানাধীন মিয়াজি বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল (৪৫), বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানাধীন বেপারী বাড়ির মৃত জয়নাল বেপারীর ছেলে মো. লিটন (৪০), ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন মধ্যপাড়া এলাকার মৃত একরাম আলী খানের ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩৫), চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বড় দুয়ারা এলাকার মৃত আলী বকসুর ছেলে আবদুল খালেক (৩৬), কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার চানপাড়ার মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. সেলিম (৩৭), চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানাধীন দক্ষিণ জোয়ারা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. হারুন (৩৩) ও পটুয়াখালীর বাউফল থানার হাওলাদার বাড়ির জালাল আহমেদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৭)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নগরের পাঁচলাইশ এলাকার বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাশে সামার হিল আবাসিক এলাকার এক দোতলা ভবনে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্রের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তি চলছিল। অসহায় মেয়েদের চাকরির লোভ দেখিয়ে কৌশলে এ ভবনে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করত চক্রটি। এমনকি আটক কেউ এই কাজে অনাগ্রহ দেখালে তার ওপর চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

২১ আগস্ট (রোববার) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বরত টিমের বিশেষ অভিযানে এ ভবন থেকে চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ভবনটিতে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা ১০ নারী উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ।

এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (এডমিন) মুক্তার হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সামার হিল আবাসিক এলাকার নাইম নামে এক ব্যক্তির দোতলা ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছিল। আমরা অভিযান চালিয়ে চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদেরকে আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

চট্টগ্রাম নগর থেকে আরও পড়ুন

জেএন/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!