খুনিরা থানায় ছিল—মামলা নেননি বাকলিয়ার ওসি, বিচার চেয়ে কাঁদছে মা

নগরের বাকলিয়া থানার রসুলবাগ এলাকার যুবক ইমরান খুনের ৮ মাস পেরিয়ে গেলে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের মা আছিয়া বেগম।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে তিনি এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে আছিয়া বেগম বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে আসামি মো. নাজিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও খোকন আমার ছেলের মোবাইলে ১৬ বার কল দেয়। পরে তাদের ফোনে বিরক্ত হয়ে আমার ছেলে বাসা থেকে বের হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় দিকে আবার বাসায় ফিরে আসে।

আরও পড়ুন : ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাইফুলের খুনিরা গ্রেপ্তার না হলে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা সেবা বন্ধ করে দিবে

তিনি বলেন, এরপর আবার বের হতে চাইলে কোথায় যাচ্ছে জানতে চাই। ছেলে জানায়, নাজিম, জাহাঙ্গীর ও খোকন আমার মোবাইল রেখে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। এরপর সে ফিরেছে লাশ হয়ে। ঘটনার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও আমার ছেলে হত্যার বিচার পাইনি। বাকলিয়া থানার সাবেক ওসি সেদিন আমার মামলা নেয়নি। ঘটনার দিন আসামিরা থানায় উপস্থিত থাকলেও তাদেরকে গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের মৃত্যুর পরেও আসামিরা বাসায় এসে বলেছে, তারা নাকি আমার ছেলের কাছে টাকা পাবে। তবে বাকলিয়া থানার বর্তমান ওসি আমাকে বলেছেন, তিনি আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত ইমরানের ছোট বোন জেসমিন আখতার এবং আনোয়ারা উপজেলার দুউপি সদস্য মো. আবু জাফর চৌধুরী মিজান ও শহীদ আহমেদ চৌধুরী।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঘটনার পর ছেলের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি নিয়েছিলেন নিহতের মা। কিন্তু তৎকালীন ওসি লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছিল অস্পষ্ট। রিপোর্টে ডাক্তার বুকের ব্যথার কারণে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছিলেন।

ওসি আরও বলেন, নিহতের মায়ের সঙ্গে বাসায় গিয়ে দেখা করে আশ্বস্ত করেছিলাম। এরপর একজন আইনজীবীসহ উনি থানায় এসেছিলেন। তবে উনার কান্নাকাটির কারণে সেদিন কথা বলা যায়নি। এরপর ডাকা হলেও উনি আর আসেননি। এ মামলার প্রাথমিক একটা রিপোর্ট তৈরি করেছিলাম। তবে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার হতে পারিনি। বর্তমানে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করছে।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!