কেউ শুনছে না শতবর্ষী গাছের কান্না

কক্সবাজারে অনুমতি ছাড়াই কাটা হচ্ছে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের গেইটে লাগোয়া শতবর্ষী ঘুন গাছটি। দিনদুপুরে গাছটি কাটা হলেও সংশ্লিষ্ট কারো এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।

সরেজমিন দেখা যায়, শতবর্ষী গাছটির বিভিন্ন অংশের ডালপালা কেটে গাছের চারপাশে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাতের আঁধারে হাওয়া শতবর্ষী গাছ౼সাক্ষী এখন সিসি ক্যামেরা

স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার শহরের শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক পুরনো শহীদ মিনারের এই ঘুন গাছ (শিশু গাছ) । এই গাছটি কক্সবাজারের একটি ঠিকানার নাম। এই গাছের ছায়ায় প্রতিদিন শত শত দিনমজুর কাজের অপেক্ষায় আশ্রয় নেয়। এছাড়া ক্লান্ত পথচারীরা এসে বিশ্রাম নেয়। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ পরবর্তী সকল আন্দোলন ও নানা ঘটনার কালের সাক্ষী এই ঘুন গাছ। আজ সেই ঐতিহ্য ও পরিবেশবান্ধব গাছটি প্রকাশ্যে কেটে ফেলা হচ্ছে ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরোয়ার আলম জানান, গাছটি কাটার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি। অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা অন্যায়।

জানা গেছে, অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটলেও বন বিভাগের কেউ তাতে বাধা দিচ্ছেন না। অথচ গাছটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের গেইটের সামনে লাগোয়া।

আরও পড়ুন: মার্কেট নির্মাণের জন্য ভরাট চলছে বছরজুড়ে পানি থাকা শতবর্ষী জলাশয়

জানতে চাইলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল ( অব) ফোরকান আহমেদ জানান, গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে ঢালপালা কাটা হচ্ছে। গোড়া থেকে পুরো গাছ কাটা হবে না।

যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা জানান, গাছটি অনেক পুরনো। পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখছে। গাছটি কারা কেন কাটছে তা জানা নেই। উন্নয়নের প্রয়োজনে কাটা হলে বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। তাই বিষয়টি বন বিভাগ দেখবে।

বলরাম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!