কুতুবদিয়ায় ৩ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে জনমনে শঙ্কা

কুতুবদিয়ায় পুকুরে ডুবে তিনদিনে ৩ শিশুর মৃত্যু শঙ্কা বাড়াচ্ছে জনমনে। এমন মৃত্যুতে অভিভাবকদের অসচেতনতাকে দায়ী করছেন সচেতন মহল। এ অবস্থায় বাচ্চাদের দেখভালে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

জানা যায়, শনিবার বিকেল ৪টায় নিজ বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায় উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড চাটিপাড়া গ্রামের শাহাবউদ্দিনের ১৩ মাস বয়সী শিশুকন্যা সাবিহা আকতার।

পরদিন রোববার সকাল ১০টায় একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কুইলারপাড়া গ্রামের এহাছানের মেয়ে ওহি (৬) ডুবে মারা যায়। ওহি বাড়ির উঠানে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পুকুরে ভাসতে দেখে বাড়ির লোকজন। সেখান থেকে ওহিকে তুলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: রমজানের বাজার গরম—ফায়দা লুটতে ‘ফাঁদ’ পেতেছে নামিদামি মার্কেটও

সর্বশেষ সোমবার উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের হাজারিয়াপাড়ার নাছির উদ্দিনের ছেলে আল্ আমিন (৪) মারা যায়। বাড়ির উঠানে খেলার সময় পরিবারের অগোচরে বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে যায় আল্ আমিন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায় তাকে পানিতে ভাসতে দেখেন বাড়ির লোকজন। এ সময় দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানতে চাইলে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পানি থেকে তুলে যেসব শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছে তাদের সবাইইকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিহত শিশুদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

এক প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার জন্য মূলত দায়ী অভিভাবকরা। পরিবারের অভিভাবকরা বিশেষ করে যারা শিশুদের দেখভালের দায়িত্বে থাকেন তারা একটু সচেতন হলে শিশুরা এভাবে পানিতে ডুবে মারা যেত না।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!