করোনাকালেই ‘সাদা’ হয়েছে ১২ হাজার কোটি ‘কালোটাকা’

করোনার কঠিন সময়েও থেমে নেই কালোটাকা সাদা করার প্রতিযোগিতা। করোনাকালেই প্রায় ১০ হাজার করদাতা কালোটাকা সাদা করেছেন। সবমিলিয়ে নগদ বা ব্যাংকে থাকা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে জমি, ফ্ল্যাট, শেয়ারবাজার, ব্যাংক কিংবা সঞ্চয়পত্রে রাখা টাকাসহ অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। কালোটাকা সাদা করলে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জবাবদিহি করতে হবে না—এমন ঘোষণাও দেওয়া হয়। আর এই সুযোগেরই যথাযথ ব্যবহার করে চলছে কালোটাকা সাদা করার প্রতিযোগিতা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, করোনার কারণে বিদেশসংযোগ অনেক কমে গেছে। সুযোগ কমেছে অর্থ পাচারের। এ কারণেই দেশে কালোটাকা সাদা হচ্ছে বেশি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রমতে, গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেয়ারবাজার, নগদ টাকা কিংবা জমি-ফ্ল্যাট কিনে ৯ হাজার ৯৩৪ জন কালোটাকা সাদা করেছেন। এর মধ্যে জমি-ফ্ল্যাট কিনে কিংবা নগদ টাকা সাদা করেছেন ৯ হাজার ৬২৩ জন। এদের ৯০ শতাংশের বেশি ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এনবিআর রাজস্ব পেয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।
এনবিআর জানিয়েছে, ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি নগদ বা ব্যাংক-সঞ্চয়পত্রে গচ্ছিত টাকা ঘোষণায় এসেছে। এতদিন বিপুল পরিমাণ এই টাকার কর নথি দেখানো হয়নি। নগদ টাকা সাদা করার সুযোগ থাকায় এবার ফ্ল্যাট কিংবা জমি কিনে টাকা সাদা করার প্রবণতা একদম কম।
এদিকে চট্টগ্রামেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নেওয়া হয়েছে। এখানের তিনটি কর অঞ্চলে কালোটাকা সাদা করেছেন ৮৪৭ জন করদাতা। আগামী জুন পর্যন্ত কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে। তাই এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!