কক্সবাজারে ফিল্মি স্টাইলে ছিনতাই—৪ জন ধরা খেলেও পালের গোদা অধরা

কক্সবাজার দিনদুপুরে ফিল্মি স্টাইলে ৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং ১১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলার এক আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৫। এসময় ছিনতাই হওয়া ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং এক লাখ এক হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সোমবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪টায় কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১৫-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সাদিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুন বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজার সদরের চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া বটতলীর নোমানিয়া মাদ্রাসার সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিশু দে। এ ঘটনায় তিনি ২৪ জুন কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে ছিনতাইকারীদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে র‌্যাব। একপর্যায়ে গোপন সংবাদে এজাহারনামীয় একজনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ এক লাখ এক হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি শাহেদসহ বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের বড়বাজার এ ছালাম মার্কেটের তরুলতা জুয়েলার্সের মালিক মিশু দে দুসপ্তাহ পরপর ঈদগাঁও বাজারে রেডিমেইড বিভিন্ন স্বর্ণালংকার বিক্রির জন্য নিয়ে যান। গত ২৩ জুন দুপুরে একই উদ্দেশ্যে মিশু এবং কারিগর সৌরভ ধর সেখানে যান। তবে ফেরার সময় কিছু স্বর্ণালঙ্কার অবিক্রিত থেকে যায়।

এরপর বিক্রির টাকা ও অবিক্রিত স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ঈদগাঁও বাজার থেকে অটোরিকশায় কক্সবাজার শহরে আসার পথে বিকাল ৪টার দিকে চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনারপাড়া বটতলী এলাকার নোমানিয়া মাদ্রাসার সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। এসময় একই এলাকার নুর আহমদের ছেলে মো. শাহেদ, একই ওয়ার্ডের মাইজপাড়ার নাছিরের ছেলে মো. বেলাল এবং ঘোনারপাড়ার রমজানের ছেলে জাহেদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের গাড়ির গতিরোধ করে ৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!