কক্সবাজারে ফিল্মি স্টাইলে স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইকারীদের খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

কক্সবাজারে দিনদুপুরে ফিল্মি স্টাইলে ১১ লাখ টাকা ও ৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ জুন) বিকাল ৪টার দিকে সদরের চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া বটতলীর নোমানিয়া মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী খুরুশকুল দক্ষিণ হিন্দুপাড়ার মৃত বীরেন্দ্র দে’র ছেলে মিশু দে বাদী হয়ে শনিবার (২৪ জুন) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। তবে এ ঘটনায় এখনও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার শহরের বড়বাজার এ ছালাম মার্কেটে তরুলতা জুয়েলার্স নামে দোকান রয়েছে মিশু দে’র। সেখান থেকে তিনি দুসপ্তাহ পরপর ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও বাজারে বিভিন্ন স্বর্ণ রেডিমেইড বিক্রির জন্য নিয়ে যান। গত শুক্রবার দুপরে তিনি ও কারিগর সৌরভ ধর ঈদগাঁও বাজারে বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির জন্য নিয়ে যান। কিছু বিক্রির পরও আরও কিছু স্বর্ণ অবিক্রিত থেকে যায়।

স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির টাকা ও অবিক্রিত স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে তিনি ঈদগাঁও বাজার থেকে অটেরিকশায় (কক্সবাজার-থ-৯৭১৩) কক্সবাজার শহরে আসছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনারপাড়া বটতলী এলাকার নোমানিয়া মাদ্রাসার সামনে রাস্তার ওপর একই এলাকার নুর আহমদের ছেলে মো. শাহেদ, একই ওয়ার্ডের মাইজপাড়ার নাছিরের ছেলে মো. বেলাল ও ঘোনারপাড়ার রমজানের ছেলে জাহেদ অটোরিকশার গতিরোধ করে। এরপর সৌরভ ধরের কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকা স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির নগদ ১১ লাখ টাকা, অবিক্রিত ৩২ ভরি ১৫ আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার (২টি গলার হার-ওজন ২ ভরি ৮ আনা, ১০টি গলার মালা-ওজন ৭ ভরি, ২২টি চেইন-ওজন ১১ ভরি, ১৮টি আংটি-ওজন ৫ ভরি, ১৪টি লকেট-ওজন ১০ আনা, ৬ জোড়া কানের দুল-ওজন ২ ভরি ৮ আনা, ৩টি বেসলেট-ওজন ২ ভরি ৫ আনা, ৬টি হাত চেইন-ওজন ২ ভরি) এবং দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় বাধা দিলে আসামিরা মিশু ও সৌরভকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে পালিয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!