ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসা গৃহবধূর ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকেই শনাক্ত করেছে র্যাব।
শনাক্ত ব্যক্তিরা হলো—আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল জয় ওরফে জয়া ও মেহেদী হাসান বাবু। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেলটিতেই বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্বামী-সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, তুলে নিয়ে গেল স্বামী—সন্তানকে
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেহেদী হাসান বাবুর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তিন যুবকের বাড়ি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায়। এর মধ্যে অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম মৃত আব্দুল করিমের ছেলে, ইসরাফিল জয় ওরফে জয়া মো. শফিকের ছেলে এবং মেহেদী হাসান বাবু মদ বিক্রেতা কাশেমের ছেলে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকেই শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। একইসঙ্গে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলর ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার ধর্ষণ মামলার সাক্ষী—বায়েজিদে আটক ২ ধর্ষক
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, সামান্য ধাক্কাধাক্কির কারণে তারা আমার এত বড় ক্ষতি করল। বারবার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বেড়াতে এসেছিলাম বেতন পাওয়ার খুশিতে। এখন স্ত্রীর অবস্থা ভালো না। তাকে নিয়ে চিন্তায় আছি।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর লে. কর্নেল খায়রুল আমিন সরকার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।
বলরাম/ডিসি