ওসি সেজে চাঁদাবাজি—পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ল ৩ চাঁদাবাজ

কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে এবার ধরা পড়লো ভুয়া ‘ওসি’। মোঃ আজিম হোসেন ওরফে ইমন (২৭) নামে সেই ‘ওসি’র সঙ্গে ধরা খেয়েছে তার আরো দুই সহযোগী।

গ্রেপ্তার অপর দুইজন হলো- মোঃ আরিফ হোসেন (৩০) ও মোঃ তারেক (২২)|

ইমনের নগরের বাকলিয়া ময়দা মিলের কালা মকবুলের কলোনিতে থাকে। এছাড়া আরিফ বাকলিয়ার ময়দার মিল চেয়ারম্যান গলির জামালের কলোনি ও তারেক আকবরশাহের শাপলা মীরপুর আবাসিক এলাকার গাজী মোস্তফার বাড়িতে থাকে।

আরও পড়ুন : ‘ভিক্ষুক সেজে’ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরল কোতোয়ালীর পুলিশ  

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারা তিনজন পেশায় দিনমজুর ও রিকশাচালক। সেবাপ্রার্থী হয়ে তারা বিভিন্ন থানায় গিয়ে ওসি, এসআইদের নাম ও নম্বর সংগ্রহ করে। সেই সঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার মামলা সম্পর্কেও খোঁজখবর রাখে। আর আরিফ নগরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর বিভিন্ন মামলার বাদি ও বিবাদিদের তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।

১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঠিক একই কায়দায় আসদগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. লুৎফুর রহমানকে ফোন করেন ইমন। নিজেকে কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয় দিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। তা নাহলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। টাকা পাঠানোর জন্য সহযোগী আরিফের নম্বর দেন। লুৎফুর রহমান বিকাশে তাদের ১৫০০ টাকা পাঠান। পরে তারা আরো টাকা চাইলে বিষয়টি টহল পুলিশকে জানান লুৎফুর।

এরপর কোতোয়ালী থানার এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরী লুৎফুর থেকে প্রতারকদের নম্বর সংগ্রহ করেন। তদন্ত করে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাকলিয়ার ময়দার মিল বৌ বাজার থেকে ইমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুসারে আরিফ ও তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!