চকরিয়ায় এক ইউনিয়ন ছাড়া লড়াই হবে সবখানে—কঠোর বার্তা প্রশাসনের

আগামী ২৬ ডিসেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়ায় হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এখানকার ৮ ইউনিয়নে নির্বাচন হলেও লড়াই হবে সাত ইউনিয়ন। কারণ একটি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে বিনাভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। আবার দুটি ইউনিয়নে ভোট হবে ইভিএমে।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও চকরিয়া থানা পুলিশ। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান-মেম্বার (সাধারণ সদস্য) প্রার্থীসহ সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে প্রতিদিন মতবিনিময় করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আরও পড়ুন: ‘এস আলম’—১৯৮ কোটি টাকার ফাঁকি, আইনি লড়াই শুরু

উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা নুরুল হুদা বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চকরিয়া উপজেলার হারবাং, বরইতলী, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, ফাঁসিয়াখালী, চিরিঙ্গা, ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। এরমধ্যে ফাঁসিয়াখালী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হবে। সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজিমুল হক আজিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৭ জন, মেম্বার পদে ৩৫৫ জন এবং সংরিক্ষত মহিলা মেম্বার পদে ১০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব ইউনিয়নে মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৮ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৮ হাজার ৮৬৩ জন এবং নারী ভোটার ৬২ হাজার ৭৮৫ জন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার আট ইউনিয়নে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রতিদিন এসব ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করছে পুলিশের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: হোটেল পেনিনসুলায় হঠাৎ আগুন, ৫ ঘণ্টার লড়াই

চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তফিকুল আলম বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শতভাগ নিরপেক্ষ করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচনে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার সুযোগ নেই। কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করে তাহলে প্রশাসন উপযুক্ত জবাব দেবে। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ করতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।

যোগাযোগ করা হলে চকরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে আট ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের নিয়ে মতিবিনিময় করা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!