লাশ নয়౼জীবিতই উদ্ধার হলো ৪ স্কুলছাত্র

চার স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না পেলে ওই চার স্কুলছাত্রের লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। তবে লাশ নয়, মুক্তিপণ না দিয়ে জীবিতই উদ্ধার হলো ৪ স্কুলছাত্র।

সর্বশেষ উদ্ধার করা হয় অপহৃত স্কুলছাত্র মিজানুর রহমানকে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

এর আগে শুক্রবার তার সঙ্গে থাকা অপর ৩ স্কুলছাত্রকে টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

উদ্ধার ছাত্ররা হলো౼ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মো. কায়সার (১৪), মিজানুর রহমান নয়ন (১৪), জাহিদুল ইসলাম (১৬) ও মিজানুর রহমান (১৪)।

অপহরণকাণ্ডের হোতা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অপর এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাব। জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মো. কাছিমের ছেলে।

এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের সহযোগী হিসেবে ছিলেন একই এলাকার মো. ইব্রাহিম। তারা দুজনই ‘বাতিঘর’ কটেজের কর্মচারী।

আরও পড়ুন : ৪ স্কুলছাত্র অপহরণ౼৩ জন উদ্ধার, আটক ৩ অপহরণকারী

এর আগে এপিবিএন’র হাতে আটক তিনজন হলো౼ টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের বাসিন্দা নজির আহাম্মদের ছেলে নুর সালাম (৫০), নুর সালামের মেয়ে রনজন বিবি (১৩) এবং একই ক্যাম্পের মোচনীপাড়ার আবুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম মিয়া (৪০)। এ তিনজন ইব্রাহিমের আত্মীয় বলে জানা গেছে।

রামু থানার জিডি সূত্রে জানা যায়, রামুর পেঁচারদ্বীপের ‘বাতিঘর’ নামের একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ওই চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম তাদের সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান। ইব্রাহিম ও জাহাঙ্গীর দুজনই রোহিঙ্গা।

এরপর থেকে চারজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না দিলে চারজনের লাশ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!