ঈদের খুশির আমেজে ৬০ গ্রামের ৫০ লাখ মানুষ

দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে ঈদের খুশির আমেজে ৫০ লাখ মানুষ আজ পবিত্র ঈদ উল আজহা উদযাপন করেছেন।

চন্দ্র মাসের তারিখ অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার পবিত্র ঈদ উল আজহা পালন করার কথা থাকলেও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সুদীর্ঘ আড়াইশ বছরের বেশি সময় ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগে ঈদ পালন করে আসছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টায় মির্জারখীল দরবার শরীফে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। এতে ইমামতি করেন পীরজাদা সৈয়দ মাওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ছাহেব।

পরে নামাজ শেষে দেওয়া হয় পশু কোরবানি।

মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্রে জানা গেছে, সুফি সাধক সৈয়দ মাওলানা মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান (র.) শাহ’র জাহাঙ্গিরী আনুমানিক ২৫০ বছর আগে থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে অর্থাৎ একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার নামাজ পালন করার নিয়ম প্রর্বতন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এখনও এ নিয়ম মেনে আসছেন এ দরবারের ভক্ত ও অনুসারীরা।

সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের পরিচালনা কমিটির সচিব মাস্টার বজলুর রহমান জানান, আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছি।

সেই একই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন-সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া, মির্জাখীল, গারাংগিয়া, বাজালিয়া, এওচিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, সাতকানিয়া পৌরসভা, লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া, কলাউজান, চুনতি, পুটিবিলা, সুখছড়ি, বাংলাবাজার, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, ধোপাছড়ি , দোহাজারি, জামিজুরি, পশ্চিম এলাহাবাদ, মাঝের পাড়া, দীঘির পাড়া, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, বাশখালীর জলদী, গুনাগরি, কালিপুর, গন্ডামারা, ছনুয়া, সাধনপুর, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, চৌমুহনীসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের দরবারের অনুসারীরা।

এছাড়া পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটাহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা দরবারের অনুসারীরা আজ সকালে নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি দিয়েছেন।

দিদারুল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!