সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য উন্মুক্ত হবে ডিসি হিল : ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

ঋতুরাজ বসন্তবরণ উপলক্ষে ‘নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এল প্রাণে’ শিরোনামে বোধন বসন্ত উৎসব-১৪২৮ উদযাপিত হয়েছে। বসন্ত আবাহন,আবৃত্তি ,সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, পিঠাপুলির সমারোহে সাজানো ছিল দিনব্যাপী এ উৎসব।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সামাজিক বিধিনিষেধ মেনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ বছর ১৭ বছরে পদার্পণ করেছে এই উৎসব

সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন। বোধন সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড. কুন্তল বড়ুয়া ও প্রশান্ত চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: মিরসরাই এখন বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিত : ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

প্রবীর পালের সঞ্চালায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোধনের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট সুভাষ বরণ চক্রবর্তী, সহসভাপতি নারায়ণ প্রসাদ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল নন্দী ও সহসাধারণ সম্পাদক মাইনুল আজম চৌধুরী।

আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির তবলা লহড়া পরিবেশনার মধ্যদিয়ে আয়োজনের সূচনা হয়।

এদিকে বিকেলের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

তিনি বলেন, সাগর-নদী-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের মতো মনোরম শহর পৃথিবীতে খুব কম আছে। আমরা চাই চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাক। আগামী বছর ডিসি হিলে বোধনের উদ্যোগে এই বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে আমি নিজেই উপস্থিত থাকতে চাই। চট্টগ্রামের ডিসি হিল সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোধনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য প্রশান্ত চক্রবর্তী । বোধন সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার ও কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল।

বোধন সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি সুজিত রায় ও বোধন আবৃত্তি স্কুলের অধ্যক্ষ পারভেজ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সংগীত ভবন, অদিতি সঙ্গীত নিকেতন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, কলাবন্তী সঙ্গীত একাডেমী, গীতধ্বনি, ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন: পানি পাচ্ছে না ১০ গ্রাম—বিএসআরএমকে আলটিমেটাম ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের

দলীয় নৃত্য পরিবশন করে ওডিসী অ্যান্ড টাগুর ড্যান্স মুভমেন্ট সেন্টার, নৃত্যম একাডেমি, স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল ডান্স, নৃত্য নিকেতন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডমেী, নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমী, ঘুঙুর নৃত্যকলা একাডেমী, দি স্কুল অফ ক্ল্যাসিক্যাল অ্যান্ড ফোক ডান্স, আলোড়ন ডান্স একাডেমি, কৃত্তিকা নৃত্যালয় ও গুরুকুল।

বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম ও বোধন আবৃত্তি স্কুল চট্টগ্রাম।

একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন বোধনের আবৃত্তিশিল্পী রীমা দাশ, তুর্ণা দাম, পৃথুলা চৌধুরী, রাজিউর রহমান বিতান, অঞ্চল চৌধুরী, সুচন্দা ঘোষ, অসীম দাশ, শিমুল নন্দী, এবং আমন্ত্রিত শিল্পী বনকুসুম বড়ুয়া, মো. মুজাহিদুল ইসলাম ও শামীমা ইয়াসমিন।

শ্রুতিনাটক পরিবেশন করেন বোধনের আবৃত্তিশিল্পী সন্দীপন সেন একা ও প্রজ্ঞা পারমিতা সেনগুপ্তা।

একক সংগীত পরিবেশন করেন বোধন সদস্য দেবলীনা চৌধুরী, নুসরাত রিনি এবং আমন্ত্রিত শিল্পী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য, শ্রেয়সী রায়, সুবর্ণা দাশ, অগ্নিলা শর্মা দিয়া, প্রান্ত তালুকদার ও প্রিয়া ভৌমিক।

আঞ্চলিক সংগীত পরিবেশন করেন জয় সেন হিরো ও ববি মনি। একক নৃত্য পরিবেশন করেন তিনা পালিত একা।

বিকেলের অধিবেশন ছিল মঞ্চমুকুট নাট্য সম্প্রদায়ের পরিবেশনায় নাটক ‘সুধা বাঁচতে চায়’।

এদিকে ঢোলবাদনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাভেদ হোসেন, মাইনুল আজম চৌধুরী, তৈয়বা জহির আরশি, হোসনে আরা তারিন, এ্যানী গুহ, রমিজ বাবু, সেহেলী হাসনাত, সুতপা মজুমদার, তারমিন পুষ্পা, অনিমেষ পালিত, বেনজীর বিনতে শওকাত, উর্মি চৌধুরী, মৃত্তিকা চক্রবর্তী ও ঋতুপর্ণা চৌধুরী।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!