আমৃত্যু জেলে থাকতে হবে ৩ খুনি ভাইকে

আনোয়ারায় একদশক আগে বিলে মাছ ধরা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় যুবককে খুনের মামলায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সপ্তম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আ স ম শহিদুল্লাহ কায়সারের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— আনোয়ারা উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিলাইগড়া গ্রামের মৃত আলি আহমেদের ছেলে হারুন রশিদ (৫০), জাহেদ হোসেন টুন্টু (৪২) ও আনোয়ার হোসেন (৪৬)।

এ বিষয়ে জেলা পিপি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, মো. সাহেদ নামে যুবককে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তিন সহোদরকে আমৃত্যু কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জাহেদ হোসেন টুন্টু ও আনোয়ার হোসেনকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠিয়েছেন। পলাতক হারুনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মামলা পরিচালনায় সহায়তা করেন অতিরিক্ত পিপি শাহাব উদ্দিন।

আরও পড়ুন : খুনের বিচার পেল ৩০ বছর পর, আমৃত্যু জেল ৩ খুনির, ১২ জনের যাবজ্জীবন

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ জুলাই ভোরে মো. সাহেদের বাড়ির পাশের বিলে দণ্ডিত জাহেদ হোসেন ভাসা জাল বসিয়ে মাছ ধরতে গেলে তাকে সাহেদ বাধা দেয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর জাহেদ তার অপর দুভাই হারুন ও আনোয়ারকে ডেকে আনে। এ সময় তারা তিন ভাই ধারালো কিরিচ, দা ও লোহার রড দিয়ে হামলা করে সাহেদকে খুন করে। হারুন দা দিয়ে সাহেদের মাথায় কোপ দেয়।

পরে সাহেদের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সাহেদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাহেদের চাচা মো. ইউনুছ বাদী হয়ে তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন আদালতে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!