৪ বছর ধরে কেন অলস পড়ে আছে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স?

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে ১০৯টি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয় ভারত সরকার। এর মধ্যে একটি রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকায় জ্বালানি ও চালক সংকটে অ্যাম্বুলেন্সটি একদিনের জন্যও ব্যবহার হয়নি। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে হাসপাতালের পেছনে টিনের ছাউনির ঘরে। ফলে হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ভারত সরকারের উপহারের আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়া হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়ার পর থেকে ব্যবহার হয়নি একদিনও।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে একটি টিনের ছাউনি ঘরে অযত্ন-অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সটি। ইতোমধ্যে এর অনেক যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে গেছে।

জানা যায়, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটিতে রয়েছে আইসিইউ পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, জরুরি ওষুধ, ইনকিউবেশন সেট, অক্সিজেন সিলিন্ডার, সাকশন মেশিন, নেবুলাইজার মেশিন, ক্যাথেটার, বিপি স্টেথো, পালস অক্সিমিটার, কার্ডিয়াক মনিটর পালস, স্যাচুরেশন, তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, মনিটর ব্যবস্থা, পথেই রোগীর হৃৎস্পন্দন ভেন্ট্রিকুলার টাকাইকার্ডিয়া (ভিটি) এবং ভেন্টিকুলার ফাইব্রিলেশনসহ (ভিএফ) নানা সুবিধা। কিন্তু মূল্যবান এ অ্যাম্বুলেন্সটি অযত্ন- অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সটি সচল রাখার দাবি রোগী ও স্বজনদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটি চালানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আলাদা অর্থ বরাদ্দ নেই। এছাড়া জ্বালানির অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং একজন দক্ষ চালক প্রয়োজন। গাড়িতে আইসিইউ থাকলেও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। তবে গাড়িটি সচল রাখতে মাঝেমধ্যে চালানো হয়।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!