চট্টগ্রামের ৩ স্পটে পুলিশের অভিযানে ‘বাঁচল’ ৩ কিশোরী

কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে অপহরণ হওয়া ৩ কিশোরীকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পৃথক এসব অভিযানে অপহরণে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) চকরিয়া থানা পুলিশের পৃথক তিনটি দল এসব অভিযান চালায়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— বাঁশাখালীর পশ্চিম চাম্বল ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে ফরহাদুল ইসলাম (২২), চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সুরাজপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শহীদ উল্লাহর ছেলে মো. সম্রাট (২২) এবং চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের মাইজ কাকারা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইছহাকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০)।

থানা পুলিশ জানায়, গত ৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকারা মনি উল্লাহপাড়ার বাড়ি থেকে অপহৃত হন হোসেন ফেরদৌসি তানিয়া (১৭)। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলার ১ নম্বর আসামি একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলামকে (৪০) তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে গত ১২ আগস্ট সকালে চকরিয়া পৌরসভার হিন্দুপাড়া এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় রিফাত জান্নাত সামিয়াকে (১৭)। এ ঘটনায় তার মা রোহানা আক্তার বাদী হয়ে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি ফরহাদুল ইসলামকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার হেফাজতে থাকা ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

একইভাবে ৩১ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সুরাজপুর এলাকার বসতবাড়ি থেকে সম্রাটের নেতৃত্বে কিশোরী ইদফা মনিকে (১৭) অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলার আসামি সম্রাটকে পেকুয়া থেকে গ্রেপ্তার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ আলোকিত চট্বগ্রামকে বলেন, তিন অপহরণের ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিন আসামি গ্রেপ্তার এবং ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়েছে। ভিকটিমদের বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এমকেডি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!