অপরাধী ধরতে ডগ স্কোয়াড নামাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ

জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত এবং মাদকদ্রব্য চিহ্নিত করতে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে যুক্ত হয়েছে একটি বিশেষায়িত ডগ স্কোয়াড।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নগরের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিক মহড়ার মধ্যদিয়ে এই ডগ স্কোয়াডের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।

এসময় তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে শহিদ পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, সিএমপিতে ডগ স্কোয়াড সংযোজনের মাধ্যমে সিএমপির অপরাধ দমন সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেল।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন হওয়ার পর থেকে সোয়াট, বিডিইউ, সাইবার টিম, ইন্টেলিজেন্স টিম মহানগরের জঙ্গি, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে শীতবস্ত্র নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে সিএমপি

সিএমপি জানায়, নতুন এ ডগ স্কোয়াডের চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। তাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে ১০টি ক্যানেল সমৃদ্ধ একটি আধুনিক দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। যেখানে রয়েছে পরিচর্যাকেন্দ্র, গ্রুমিং স্পেস, রান্নাঘর, শাওয়ার, নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য উন্মুক্ত মাঠ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কাঠামো।

এছাড়া ভবনে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে। ডগ স্কোয়াড পরিচালনার জন্য ২৭ জন নেদারল্যান্ড এবং ডিএমপি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

সম্প্রতি যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে আধুনিক, নিত্য নতুন ও বিশেষ কৌশলে সংঘঠিত অপরাধ মোকাবেলার নিমিত্ত কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানো, অপারেশনাল কাজে ব্যবহার, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য চিহ্নিতকরণ, বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্তকরণসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড (Canine Unit) গঠন করা হয়। এই স্কোয়াডে বর্তমানে ৯টি ডগ (Canine) রয়েছে। যার মধ্যে ৫টি বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত এবং ৪টি মাদক চিহ্নিত করতে সক্ষম।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!