রক্তাক্ত মাদ্রাসা—৩ খুনি পুলিশের জালে

কক্সবাজারের উখিয়ায় শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোরে মাদ্রাসায়ি সেভেন মার্ডারের ঘটনায় দুদিন ধরে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এদের মধ্যে ৩ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদরাসায় সাত শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ও শনিবার (২৩ অক্টোবর) একাধিক অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন পাঁচজনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ারা হলেন- মজিবুর রহমান (১৯), দিলদার মাবুদ ওরফে পারভেজ (৩২), মো. আইয়ুব (৩৭), ফেরদৌস আমিন(৪০), আব্দুল মজিদ (২৪), মো. আমিন (৩৫), মো. ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), জাফর আলম (৪৫), মো. জাহিদ (৪০) ও মো. আমিন (৪৮)।

এর মধ্যে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে উখিয়া থানায় আরেকটি মামলা করেন।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প রণক্ষেত্র—নিহত ৭

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক (এসপি) শিহাব কায়সার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহত আজিজুল হকের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করেন।

তিনি বলেন, এ মামলার এজাহারনামীয় পাঁচজন ও সন্দেহজনক পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

শুক্রবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে উখিয়ার এফডিএমএন ক্যাম্প-১৮ এইচ-৫২ ব্লকের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদরাসায় মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

আরও পড়ুন: রাতের আঁধারে উধাও—ময়লা ফেলতে গিয়ে খোঁজ মিলছে না মাদ্রাসার ২ ছাত্রের 

এরপর গুলিবিদ্ধদের কুপিয়ে এবং জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে নিহত বেশ কয়েকজনের হাতের আঙ্গুলসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!