ছোট্ট শরীরে ‘বড়’ রোগ, বাঁচাতে হবে গুনগুনকে

নগরের পাথরঘাটা সেন্ট জোনস গ্রামার স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী গুনগুন ভট্টাচার্য (১১)। এই ছোট্ট শিশুর দেহে দেখা দিয়েছে ‘বড়’ রোগ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম ‘অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’।

বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করলেই সুস্থ হয়ে উঠবে গুনগুন। কিন্তু বাবা-মায়ের কাছে যে নেই চিকিৎসার টাকা! মেয়ের শুরুর চিকিৎসা খরচ মেটাতে ইতোমধ্যে সহায়-সম্বল বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তারা।

গুনগুনের বাসা নগরের পাথরঘাটা এলাকায়। বাবা খোকনময় ভট্টাচার্য নগরের একটি ব্যাটারির দোকানে স্বল্প বেতনে চাকরি করেন। মা ঝুমা ভট্টাচার্য গৃহিণী।

গুনগুন মে মাস থেকে অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ায় ভুগছে। এ রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বর্তমানে অর্থকষ্টে গুনগুনের নিয়মিত ওষুধ সেবনও প্রায় বন্ধ। কারণ সবগুলো ওষুধের দাম পরিবারের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে। বকেয়া রয়েছে হাসপাতালের বিলও।

আরও পড়ুন : ‘বিপজ্জনক’—২৪ মৃত্যুতে চোখ রাঙানি ডেঙ্গুর

চলতি বছরের ২২ মে গুনগুনের অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া ধরা পড়ে। এরপর নগরের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়। প্রায় ছয় মাসে তার চিকিৎসায় ব্যয় হয় ২০ লাখ টাকা। বর্তমানে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিরাজাম মুনিরার অধীনে চিকিৎসাধীন গুনগুন। এর আগে তাকে ঢাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

চিকিৎসক জানান, অপারেশনের মাধ্যমে গুনগুন সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। তবে দ্রুত অপারেশন করা না গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

গুনগুনের মা ঝুমা ভট্টাচার্য আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মেয়েকে বুকে নিয়ে দিন-রাত কান্নাকাটি করি। অর্থকষ্টের কারণে নিয়মিত ওষুধও দিতে পারছি না। হাসপাতালের আগের বিলও বকেয়া রয়েছে। এখন মেয়ের অবস্থা খারাপের দিকে। জটিল রোগে আক্রান্ত মেয়েটিকে অপারেশন করে সুস্থ করা সম্ভব। এজন্য দরকার ৩০ লাখ টাকা । কিন্তু এতো টাকা আমাদের কাছে নেই। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে মেয়ের হাসিটা ধরে রাখতে পারি।

গুনগুনকে সহযোগিতা পাঠাতে পারেন ব্যাংক কিংবা বিকাশে নম্বরে। পূবালী ব্যাংক পাথরঘাটা শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর-১৫২৮১০১০৮৩৬২১। বিকাশ নম্বর-০১৮৬২-২০১২৪০ (ঝুমা ভট্টাচার্য)।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!