২০০ টাকার লোভে ‘পাওয়ার কারে’ যাত্রী নেয় সাগরিকা-কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন

চট্টগ্রাম থেকে সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন যায় চাঁদপুর এবং কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন যায় ঢাকায়। এ দুটি ট্রেনের পাওয়ার কারে অবৈধভাবে নিয়মিত তোলা হয় যাত্রী। ট্রেন লাইটিং কর্মচারীদের যোগসাজশেই এ অনিয়ম চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী সাগরিকা সকাল সাড়ে ৭টায় ছেড়ে যায়। ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে ১০টায়। ট্রেন দুটির লাইটিংয়ের কয়েকজন অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে পাওয়ার কারে প্রতিদিন যাতায়াত করে কয়েকশ যাত্রী। ওই অসাধু কর্মচারীরা চট্টগ্রাম রেল স্টেশনসহ প্রায় সব স্টেশন থেকেই অবৈধভাবে যাত্রী তোলেন।

রেল দুটির কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, প্রতিদিন নামাজের স্থান, ইঞ্জিন রুম, দুপাশের দুই কেবিনে বসে ও দাঁড়িয়ে চার শতাধিক যাত্রী নিয়মিত যাতায়াত করেন। তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়। বিশাল অঙ্কের এই টাকা ভাগ করে নেন ট্রেন লাইটিংয়ের কর্মচারীসহ অন্যান্যরা।

এদিকে পাওয়ার কারে অবৈধভাবে যাত্রী যাতায়াতের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ট্রেনে পাওয়ার কার হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রবেশ নিষিদ্ধ একটি জায়গা। যেখানে জনপ্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানেই ঠাসাঠাসি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। আবার এসব যাত্রীর অনেকেই ধূমপান করেন। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ এছাড়া পাওয়ার কার থেকে ট্রেনের বৈদ্যুতিক সংযোগ তদারকি করা হয়। যাত্রী পরিবহনের কারণে যথাযথভাবে তা করা যায় না।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের মাস্টার মো. জাফর আলম আলোকিত চট্টগ্রাম বলেন, ট্রেনের পাওয়ার কারে যাত্রী উঠানো নিষিদ্ধ। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে কোনো যাত্রী তোলতে পারে না। হয়ত অন্য স্টেশন থেকে তোলে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!