সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা

পণ্য খালাসে বাড়তি ভ্যাট দেওয়ার কারণ দেখিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। আজ (৩ এপ্রিল) থেকেই বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়াতে চান তারা।

এ বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম ঠিক করতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোজ্যতেলের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের জন্য কম মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করা হয়েছিল গত বছরের মার্চে। চলতি সপ্তাহের রোববার সেই সময় শেষ হয়ে গেছে।

এ অবস্থায় ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৩০ এপ্রিল বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের কাছে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম সমন্বয় করার কথা বলে আবেদন করে।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আবেদন পেয়েছি। মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম ঠিক করবে ট্যারিফ কমিশন।

বর্তমানে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিনের দাম ১৯০ টাকা। গত ১৭ নভেম্বরে বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বাড়ায় সমিতি। তারও আগে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১৭৮ টাকা।

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৬ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তার মেয়াদ ৩০ এপ্রিল শেষ হয়েছে। সে হিসেবে ১ মে থেকে ভোজ্যতেলের কাঁচামালের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে পণ্য খালাস করার কথা। এ ছাড়া উৎপাদন পর্যায়েও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে আগামীকাল থেকে বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ৩ লাখ টনের কাছাকাছি। স্থানীয় উৎপাদন হয় দুই লাখ টন। আর বাকি ১৮ লাখ টনই আমদানি করতে হয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছিল এনবিআর। এছাড়া প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর প্রযোজ্য ৩ হাজার টাকা ও পরিশোধিত চিনিতে ৬ হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে সংস্থাটি। এ সুবিধা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!