অনলাইন ক্লাসে দেশে ষষ্ঠ হয়েছে পোর্টসিটি : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

পোর্টসিটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিসিআইইউ) উইন্টার ফল-২০২১ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এবং পিসিআইইউ’র প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম (এমপি)।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, পোর্টসিটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নামটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক করে দিয়েছিলেন। তাই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তিদের প্রতি আমার অন্যরকম টান রয়েছে। আমি যখন ক্যাম্পাসে ঢুকি তখন রাজনীতি ভুলে যাই। ক্যাম্পাসে আমি রাজনীতি আগেও সমর্থন করিনি, আগামীতেও করবো না।

আরও পড়ুন : পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটিতে কক্সবাজার স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

তিনি আরো বলেন, আমরা অতিশিগগির কল্পলোকের স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যাবো। বিজয়ের মাসে সম্ভব না হলে স্বাধীনতার মার্চ মাসে স্থানীয় ক্যাম্পাসে চলে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ। পোর্টসিটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি ক্যাম্পাস হবে। আমি আপনাদের কথা দিলাম।

উপমন্ত্রী আরও বলেন, মহামারীর সময়ে সবকিছু থমকে গেলেও আমাদের অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চলমান ছিল। সেটার সাফল্যও আমরা পেয়েছি। অনলাইন ক্লাসে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পোর্টসিটি ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে। করোনার সময় সেমিস্টার ফি’র জন্য কোনো শিক্ষার্থীদের চাপ দেওয়া হয়নি। গত দুবছরে মাত্র ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিউশন ফি পরিশোধ করেছে। আমি বলে দিয়েছিলাম টাকার জন্য আমার কোনো ছেলেমেয়ের যেন পড়ালেখা বন্ধ না হয়।

সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১২টি প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার ৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যে ৬টির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। বাকি একটি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ভবিষ্যতে ২০৪১ সাল এবং এরপর কেমন হবে দেশের ডেল্টা প্ল্যান পরিকল্পনা করে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক ড. এম মুজিবুর রহমান, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, মো. মিজানুর রহমান, মো. আলী আজম স্বপন, ডা. জাহানারা আরজু ও রফিক উল্লাহ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার ওবায়দুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, বিভাগের কো-অর্ডিনেটর, চেয়ারম্যান ও শিক্ষক, আমন্ত্রিত অতিথি, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে রত্নগর্ভা বেগম আশ্রাফুন্নেসা ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬ লাখ টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এএইচ/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!