শহরে প্রবেশমুখেই পুলিশের অ্যাকশন, ফিরছে মানুষ—বাড়ছে জট

টানা ১৭ দিন পর আবার সড়কে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়া নিয়ে গণপরিবহণ চলাচল করছে।

বুধবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকে নগরসহ সারাদেশে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল ।

গণপরিবহণ চলাচল শুরু হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে নগরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। সড়কে বেড়েছে গাড়ি ও মানুষের চাপ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে নতুন ব্রিজ এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, ফিরতি মানুষের স্রোত ও গাড়ির জটলা। এ গাড়ি ও যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সময় কাটছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।

এদিকে গণপরিবহনে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা এসব তদারকিতে মাঠে নেমেছেন সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টায় নতুন ব্রিজ এলাকায় বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে উঠে এসব তদারকি করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ।

গণপরিবহনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ

এ সময় তিনি গণপরিবহনে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ করেন। গাড়িতে অর্ধেক যাত্রী আর বর্ধিত ভাড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালাতে চালক ও হেলপারকে নির্দেশনা দেন । এছাড়া বিতরণ করেন মাস্ক।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক দক্ষিণ) এসএম নাসির উদ্দীন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক দক্ষিণ) রইছউদ্দিন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) মাহমুদুল হাসান, টিআই (বাকলিয়া) সামছুদ্দিন, সার্জেন্ট আ. রহমান, সার্জেন্ট শরিফুল ইসলাম।

এদিকে সড়কে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

নির্দেশনাগুলো হলো- মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না; সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না; গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেলপার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান/ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে; যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাসগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে; এছাড়া যানবাহনের যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা এবং সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী উঠানামা করতে হবে।

গত ২৮ জুন থেকে সীমিত এবং ১ জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের শুরুর দিন থেকেই গণপরিবহন বন্ধ ছিল।

এর আগে ২০২০ সালের ২১ মার্চ থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে ১ জুন স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্ত সাপেক্ষে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। তখন ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়।

এরপর ৫ ও ৬ এপ্রিল বন্ধ থাকে গণপরিবহনের চলাচল৷ ৭ এপ্রিল থেকে আবারও গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়৷

১৪ এপ্রিল থেকে জারি করা কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ছিল গণপরিবহন চলাচল৷ এর পর আবারও ২৮ জুন থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন চলাচল৷

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!