বাঁশখালীতে মাংস রান্না নিয়ে ঝগড়ার জেরে পুত্রবধূ রুবি আক্তার খুনের ঘটনার ৭ বছর পর শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তাররা হলেন— ইয়াকুব নবী (৬৭) ও তাঁর স্ত্রী খদিজা বেগম (৫৭)।
পিবিআই জানায়, ২০১৬ সালে শবেবরাতের দিন মাংস রান্না নিয়ে পুত্রবধূ রুবি আক্তারের সঙ্গে শ্বশুর ইয়াকুবের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইয়াকুব গলা টিপে ধরলে রুবি আক্তার মারা যান। এরপর রুবির গলায় ওড়না পেচিয়ে তাকে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় রুবির পরিবার ইয়াকুব-খদিজা দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর গত ৭ বছর ধরে ইয়াকুব-খদিজা দম্পতি হাটহাজারীতে আত্মগোপনে ছিলেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, রুবির পরিবার মামলা করার পর জায়গা-জমি বিক্রি করে তার শ্বশুর ইয়াকুব ও শাশুড়ি খদিজা হাটহাজারী চলে যান। সেখানে চৌধুরীহাট এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, পিবিআই মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর শ্বশুর-শাশুড়ির অবস্থান শনাক্ত করে হাটহাজারীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। খদিজা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের জবানবন্দি দিয়েছেন।