জাপানে পরিস্থিতি ‘ভয়ঙ্কর’

জাপানে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ভূমিকম্পে সুজুর প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক শহরে বন্ধ হয়ে গেছে পানি সরবরাহ। ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে প্রায় ৩৪ হাজার পরিবার এখনও বিদ্যুৎবিহীন।

এদিকে বছরের প্রথম দিনে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে জাপানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে পৌঁছেছে। বেঁচে যাওয়াদের সন্ধানে বুধবারও মরিয়া হয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

সোমবারের ৭.৬ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জাপানের ইশিকাওয়া অঞ্চল। এতে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় এবং বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পটি হোনশু দ্বীপের নোটো প্রদেশে আঘাত করলে সেখানকার কর্মকর্তারা উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে উঁচু জায়গায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে ভূমিকম্পে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা। তবে বেশ কয়েকটি শহরে অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশকিছু মানুষ আটকাও পড়েছে।

এএফপি বলছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইশিকাওয়া অঞ্চলের নোটো প্রদেশ। সেখানে শত শত বিল্ডিং আগুনে পুড়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে।

আঞ্চলিক সরকার মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে ৫৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আরও ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

অপরদিকে আফটারশক এবং খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা। ৩১ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন বলেও তারা জানিয়েছে।

উপকূলীয় শহর সুজুর মেয়র মাসুহিরো ইজুমিয়া বলেছেন, শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে… পরিস্থিতি সত্যিই বিপর্যয়কর।

এদিকে ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে প্রায় ৩৪ হাজার পরিবার এখনও বিদ্যুৎবিহীন। অনেক শহরে পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!