পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের উৎসবে সবাই সুর মেলালেও ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড

দখিনের ২১ জেলার বহুমুখী অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় ও বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরাট মাইলফলক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সারাদেশ ছিল আনন্দ-উৎসবে মাতোয়ারা। সেই উৎসবের সঙ্গী হয়েছিল চট্টগ্রামও। দিনভর নগরজুড়ে ছিল বর্ণিল আয়োজন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ব্যতিক্রম দেখা গেল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডকে। এদিন সেখানে ছিল না কোনো আনন্দ আয়োজন ও উৎসব।

সরকারের বিশাল এ অর্জনে সরকারি–বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান যখন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা তখন একেবারে নীরব ভূমিকায় ছিল চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড৷

আরও পড়ুন: পদ্মাপাড়ে প্রাণের জোয়ার

সরেজমিন দেখা যায়, উৎসবের এই দিনে শিক্ষা বোর্ডে নেই কোনো আয়োজন কিংবা কর্মসূচি। চোখে পড়েনি কোনো ব্যানার কিংবা ফেস্টুন৷ শিক্ষাবোর্ড ঘিরে সুনসান নীরবতা।

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদ্মা সেতুর উদ্বোধীন অনুষ্ঠান সম্প্রচারে অফিস আদেশ জারি করলেও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি।

শিক্ষা বোর্ডের এমন নীরবতার দিনেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নিজ নিজ উদ্যোগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে। দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন।

এদিকে আজকের আনন্দের এই দিনে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নীরবতা সচেতন মহলে বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্রেক সৃষ্টি করেছে।

আরও পড়ুন: ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, যে গাড়িতে যত টাকা টোল

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব মো. বেলাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য না করে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!