জাল নথি দিয়ে ভিসার আবেদন করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে : রাজীব রঞ্জন

ভারতের ভিসা প্রাপ্তিতে মিথ্যা তথ্য ও জাল নথি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। এছাড়া যারা দালাল ধরে জাল নথি প্রদান করবে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

নগরে খুলশীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটিইসি) দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন হয়।

ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ঢাকায় আমাদের প্রধান মিশন এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা ভিসা প্রদান করে থাকি। কিন্তু চট্টগ্রামে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা প্রক্রিয়ায় কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাচ্ছি। ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করার যে কেন্দ্রগুলো আছে সেগুলো স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ভিসাপ্রার্থীদের আবেদন সংগ্রহ এবং পাসপোর্ট সরবরাহের মধ্যেই তাদের কাজ সীমাবদ্ধ। কিন্তু ভিসার আবেদন, নথি যাচাই-বাছাই ও ভিসা প্রদানের প্রক্রিয়ায় তাদের কোনো ভূমিকা নেই। সহকারী হাইকমিশন কার্যালয় শুধু ভিসা প্রদানের ক্ষমতা রাখে।

তিনি বলেন, অপ্রতুল অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে চট্টগ্রামে ভিসাপ্রার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা চেষ্টা করছি ভিসা আবেদন কেন্দ্রকে আরও বড় পরিসরে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে এবং আরও জনবল নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টিও আমাদের পরিকল্পনায় আছে।

দালালদের মাধ্যমে ভিসার আবেদন পূরণের বিষয়েও উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় দালালরা ভিসাপ্রার্থীদের আবেদন ফরম পূরণের জন্য প্রচুর টাকা নেয় এবং জাল নথি যুক্ত করে দেয়। এক্ষেত্রে ভিসাপ্রার্থীদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আমি ভিসাপ্রার্থীদের বলব, দালালের মাধ্যমে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন না। জাল নথি শুধু আপনাকে আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, আপনাকে ভিসাও দেওয়া হয় না। এছাড়া বারবার জাল নথি দিয়ে একই আবেদন করার কারণে আপনাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, যারা জাল নথি দিয়ে ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করেন এক বা একাধিকবার, আমরা তাদের নাম-ঠিকানাসহ সব তথ্য ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ভিসাকেন্দ্রের সামনে আমরা অভিযোগ-পরামর্শ বাক্স স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের একটি ই-মেইল ঠিকানা দেওয়া থাকবে, যেখানে আবেদনকারী তার অভিযোগের বিষয় জানাতে পারবেন।

ভিসা প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে রাজীব রঞ্জন বলেন, আপনার ভিসা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য কিংবা সহযোগিতার জন্য আমার কাছে আসুন। একটি সুন্দর, স্বচ্ছ ও শক্তিশালী ভিসা প্রক্রিয়া গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশিদের সর্বোত্তম সেবা দেওয়ার জন্য আমি আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। সবার সহযোগিতা ছাড়া আমরা কখনোই সফল হতে পারব না।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!