জঙ্গল সলিমপুরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল জেলা প্রশাসন

সীতাকুণ্ডের গহীন অরণ্যে অবস্থিত জঙ্গল সলিমপুর এলাকার অলীনগর পাহাড় কেটে গড়ে তোলা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এ সময় সন্ত্রাসী ইয়াসিনের আস্তানাও উচ্ছেদ করা হয়।

আরও পড়ুন: বাটির ভেতর দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ লুকিয়ে রেখেছিল মা—ছেলে

অভিযানকালে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ অটুট রেখে পরিকল্পিত পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও নগরায়ণে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। চট্টগ্রাম শহর থেকে ১০কিলোমিটার দূরত্বের জঙ্গল সলিমপুরে ৫টি মৌজায় মোট খাস জমির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার একশত একর। কিন্তু কতিপয় ভূমি দস্যু ৯০ দশক থেকে এখানে পাহাড় কেটে পরিবেশ বিপন্ন করে সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করেছে। পাহাড় কেটে তৈরি করা ঝুকিপূর্ণ প্লটগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অপকর্ম করে আসা সন্ত্রাসীদের নিকট বিক্রি করেছে এই ভূমিদস্যুরা। ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ কোটি টাকার উপরে জায়গা বাবদ লেনদেন করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

salimpur

আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এসানুল হক বাবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীতাকুণ্ড সার্কেল আশরাফুল করিম, সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ, এসআই সুমন বণিকসহ র‌্যাব, পুলিশ, সাংবাদিক, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য ও  সেচ্ছাসেবক টিম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, জঙ্গল সলিমপুরের অলীনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফেরার সময় স্থানীয় মহিলা প্রতিবাদ জানায়। তবে কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, ১ জুলাই তথ্যমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও জেলা প্রশাসক প্রথমবারের মতো জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শন করে একটা মহাপরিকল্পনার কথা জানান। এরই প্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ পরিচালকের নেতৃত্বে একটি টিম পরিদর্শনে গেলে তাদের সামনেই গাড়ি থেকে নামিয়ে স্থানীয় মেম্বারকে মারধর করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন আলী নগরের সম্রাট খ্যাত ইয়াসিন। পরে ১৬ জুলাই সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করা হলে ইয়াসিনসহ ৫ জনকে কোতোয়ালি থানা এলাকা হতে ১৮ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়।

এসএস/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!