ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত যুবককে মামলা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন পাহাড়তলীর ওসি

নগরে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছেন নুর মোস্তফা রিপন নামে এক যুবক। অথচ রক্তাক্ত সেই যুবকের বিরুদ্ধেই মামলা নিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শোকজ করা হয়েছে পাহাড়তলী থানার ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার জাহানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতের পুলিশ প্রসিকিউশন শাখা সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে একে খান এলাকায় মারামারির ঘটন ঘটে। এতে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করা হয় নুর মোস্তফা রিপনকে। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। যার মেডিকেল সার্টিফিকেটও রয়েছে রিপনের কাছে। কিন্তু মামলা খেয়ে উল্টো পাহাড়তলী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ছুরিকাঘাতে আহত রিপন।

যে মামলায় রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয় সেই মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে নগরের একেখান মোড় পিডিবি অফিসের সামনে রাস্তায় দেশ ট্রাভেলসের ভাসমান কাউন্টারে নুর মোস্তফা রিপন গিয়ে মো. রিফাতকে (২৯) কাউন্টার ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এছাড়া রিপন কাউন্টারে কমিশন হিসেবে টিকিট বিক্রি করবেন বলে জানান। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। রিফাতকে মারধরের সময় চিৎকার শুনে ভাগিনা মো. আব্দুল্লাহ (১৪) এবং রবিউল আলম (১৮) এগিয়ে এলে রিপন তাদের ছুরিকাঘাত করেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে, নুর মোস্তফা রিপনের ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহর পিঠে ও বাম হাতে এবং রবিউলের ডান গালে জখম হয়। পরে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তবে রবিউল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভর্তি করা হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মো. রিফাত বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেন। মামলার পর নুর মোস্তফা রিপনকে পাহাড়তলী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে কোর্টের চালান কপি সূত্রে জানা গেছে, নুর মোস্তফা রিপনকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। এ আঘাত কীসের জানতে চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তখন রিপন জানান, মারামারির ঘটনায় তিনি আঘাত পেয়েছেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!