এমপি হলেন মহিউদ্দীন বাচ্চু

চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং-হালিশহর-পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা)। ১৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন নৌকার এই প্রার্থী।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও ৫ প্রার্থী। তাঁরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।

রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে ভোট গণনা শুরু হয়।

১৫৬ ভোটকেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, মহিউদ্দিন বাচ্চু পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯২৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. শামসুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭২ ভোট। এছাড়া তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী দীপক কুমার পালিত ১ হাজার ২৩০ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া ৫৭৯ ভোট, স্বতন্ত্রের মো. আরমান আলী ৪৮০ ভোট ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া পেয়েছেন ৩৬৯ ভোট।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুকে জয়ী করতে হবে : আ জ ম নাছির

আজ সকাল ৮টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। তবে প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। মসজিদে মাইকিং করে সাড়া মিলেনি ভোটারদের৷ তবে নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

৬ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণে চট্টগ্রাম ১০ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সরব ছিল নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা। ভোটকেন্দ্রে ছিল নৌকার পোলিং এজেন্টরা। তবে অন্য পাঁচ প্রার্থী ও সমর্থকদের ভোটের মাঠে দেখা যায়নি। এছাড়া কেন্দ্রে নৌকার পোলিং এজেন্ট তৎপর থাকলেও অন্যান্য প্রার্থীর কিছু পোলিং এজেন্ট বেলা বাড়তেই কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।

জিমনেশিয়ামে উপস্থিত মহিউদ্দিন বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে নির্বাচন কমিশন বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। আমার অবশ্যই বিজয়ের অনুভূতি আছে। আমরা যারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অল্প সময় বা বেশি সময় বিবেচনা করি না। যত সময় পাবো ততটুকু জনগণের কল্যাণের জন্য নিবেদিত থাকবো। এটাই আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমার এই জয়ের পেছনে আমার দলের সহযোগিতা আছে। না থাকলে এতো ভোট পেতাম না। আমি প্রার্থী হওয়ার আগে দলের কর্মী। সন্তুষ্টির উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার আগে দলের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবো।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম ১০ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ভোটারদের মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী। মোট ভোটের শতকরা হার ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এআইটি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!