ঈদে চট্টগ্রাম নগর ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ, চুরি ঠেকাতে সতর্ক সিএমপি

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। বন্দরনগরী একপ্রকার ফাঁকা বললেই চলে। নাড়ির টানে শহর ছেড়ে গেছে অনেকেই। নগরের অনেক বাসা-বাড়িতে ঝুলছে তালা। এসময়ে তৎপর হয়ে উঠেছে চোরচক্র। খুঁজছে সুযোগ।

এদিকে ফাঁকা নগরে চুরি-ডাকাতিসহ যেকোনো অপরাধ ঠেকাকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

আরও পড়ুন :চট্টগ্রামে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো থাকবে ঈদ জামাত, সতর্ক সিএমপি

তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় পুলিশি টহল জোরদার করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসাতে হবে তল্লাশি চৌকি।

পুলিশ বলছে, নগরবাসী নিরাপত্তায় মোবাইল টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সুইপিং টিম, স্ট্রাইকিং টিম, কুইক রেসপন্স টিম, র‍্যাব, ক্রাইম সিন টিম এবং ফায়ার সার্ভিসও দায়িত্ব পালন করবে।

নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদসহ বড় ঈদজামাতে সাদা পোশাকে ডিবি ও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া চামড়া কেনাবেচায় চাঁদাবাজি ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

লালখানবাজার হাইলেবেল রোডের আব্দুল মতিন নামের এক বাড়িওয়ালা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে নগর ছাড়ে সাধারণ মানুষ। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অপরাচক্রের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এসময় তারা খালি বাসা-বাড়ি টার্গেট করে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করলে আশা করি চুরি রোধ করা সম্ভব।

নগরের গোলপাহাড় সুবর্না আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ তালুকদার বলেন, ঈদে বাসা-বাড়ি খালি থাকার সুযোগে তালা ভেঙে, আবার কখনো জানালা কেটে স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা নিয়ে যায় চোরের দল। প্রতিবছর বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। তাই পুলিশের নিরাপত্তার পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তবে বাসা-বাড়ি পুরোপুরি ফাঁকা না রেখে এবং নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সিসি ক্যামেরা লাগানো এবং সচল রাখার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : ‘হ্যালো সিএমপি’—ক্লিকেই জানা যাবে নির্ধারিত ভাড়া 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শামসুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে নিরাপত্তা নির্দেশনামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে নগরে ৮টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া চলবে নিয়মিত তল্লাশি।

তিনি বলেন নগরের মার্কেটগুলোতে সাদা পোশাকে পুলিশ সর্তক অবস্থানে থাকবে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরাও তৎপর রয়েছে।

বাসা-বাড়িতে চুরি ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নগরের ১৬টি থানায় বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে উঠান বৈঠক করে বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রত্যেক থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রত্যেক এলাকা ও বাসা-বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা শতভাগ সচল রাখার জন্য বাড়িওয়ালাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নগরবাসীর জানমাল রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!