আত্মহননে চট্টগ্রাম সেকেন্ড, বেশিরভাগই ছাত্রী

দেশে আট বিভাগে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে। এরপরেই অবস্থান চট্টগ্রামের। ২০২২ সালে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন।
আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে আত্মহত্যা প্রবণতার ভয়াবহ বর্ণনা। দেশের পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৮৬ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে স্কুল ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩৪০ জন। কলেজ ও সমমান পর্যায়ে ১০৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এদের মাঝে শুধু মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী রয়েছেন ৫৪ জন। এছাড়া রয়েছে ২৮৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী এবং ১৬১ জন ছেলে শিক্ষার্থী।

সারা দেশে মোট আটটি বিভাগে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে, ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এরপরেই অবস্থান চট্টগ্রামের, ১৭.২৭ শতাংশ৷

এবারও আত্মহত্যার ঘটনায় এগিয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা। মেয়ে শিক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ৯০ শতাংশের বিপরীতে ছেলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার হার ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ।

এদিন সংবাদ সম্মেলনে আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের টিম লিডার ফারজানা আক্তার লাবনী গেল বছরের জরিপের তথ্য তুলে ধরেন।

আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মঘাতী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে। ২০২১ সালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তবে ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৯।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট শাহরিনা ফেরদৌস ও আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।

এআইটি/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!