করোনায় কাঁপছে চট্টগ্রাম। একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। আবার এই একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০ করোনা রোগীর। এদিন চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা এবং শনাক্তে ভেঙেছে আগের সব রেকর্ড।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ৮৬৯ নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫২ জন নগরের এবং ৩৫১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
একইসময়ে মারা গেছেন ১০ করোনা রোগী। এরমধ্যে ৪ জন নগরের এবং ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৬৭ হাজার ৭৮৭টি করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৫ নমুনা পরীক্ষায় ৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিআইটিআইডি ল্যাবে ৭৫৭ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১৯১ জনের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ৪০৭ নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয় ১৩৭ জনের।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২০৫ নমুনা পরীক্ষায় ৭৮ জন, অ্যান্টিজেন টেস্টে ৭১৩ নমুনা পরীক্ষায় ২৩৫ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৯২ নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জন, শেভরনে ২২৪ নমুনা পরীক্ষায় ৭৮ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬৪ নমুনা পরীক্ষায় ৩৬ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৩১ নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জন, মেডিকেল সেন্টারে ২২ নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জনের এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১০৩ নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ছয়টি নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনা মেলেনি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ৮ জন, সাতকানিয়ার ১৬ জন, বাঁশখালীর ১২ জন, আনোয়ারার ৩৪ জন, চন্দনাইশের ১৯ জন, পটিয়ার ১৭ জন, বোয়ালখালীর ৩২ জন, রাঙ্গুনিয়ার ১০ জন, রাউজানের ২২ জন, ফটিকছড়ির ২৭ জন, হাটহাজারীর ৭৫ জন, সীতাকুণ্ডের ৪৫ জন, মিরসরাইয়ের ২৮ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ৬ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে এখন লকডাউন চলছে।
জেডএইচ