ভয়াবহ—চট্টগ্রামে করোনায় রেকর্ড আর রেকর্ড 

চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের রেকর্ড ফের ভেঙেছে। একইসঙ্গে নতুন রেকর্ড হয়েছে নগর ও উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ শনাক্তের ক্ষেত্রেও।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ৬৪৯ নমুনা পরীক্ষায় ৯৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩৬ জন নগরের এবং ৩১৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

একইসময়ে মারা গেছেন ১০ করোনা রোগী। এরমধ্যে ৪ জন নগরের এবং ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৯০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৬৬ হাজার ৭৮৪টি করোনা শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৩ নমুনা পরীক্ষায় ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বিআইটিআইডি ল্যাবে ৬৯৮ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ২১০ জনের।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ৪০০ নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয় ১৩০ জনের।

এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২২৯ নমুনা পরীক্ষায় ৮২ জন, অ্যান্টিজেন টেস্টে ৬৫৪ নমুনা পরীক্ষায় ২৩৬ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫১ নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জন, শেভরনে ১৯৭ নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫২ নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৪২ নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১০২ নমুনা পরীক্ষায় ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা মেলেনি।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ৮ জন, সাতকানিয়ার ৯ জন, বাঁশখালীর ৯ জন, আনোয়ারার ১৫ জন, চন্দনাইশের ১১ জন, পটিয়ার ২১ জন, বোয়ালখালীর ২৬ জন, রাঙ্গুনিয়ার ২৮ জন, রাউজানের ৩৫ জন, ফটিকছড়ির ৩০ জন, হাটহাজারীর ৩৬ জন, সীতাকুণ্ডের ৫০ জন, মিরসরাইয়ের ২৭ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১৪ জন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে এখন লকডাউন চলছে।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!