হুজুর ‘খুব বেয়াদব’—পালাল চট্টগ্রামের মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা

আট বছরের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে চান্দগাঁও চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকা খাদিজাতুল কোবরা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ কমপ্লেক্স সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদের এই ইমাম পলাতক রয়েছেন।

জানা যায়, লোহাগড়ার এক নারী তার আট বছরের মেয়েকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশে চান্দগাঁও থানার চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর খাজা রোড আবদুল মাবুদ ভবনের খাদিজাতুল কোবরা মাদ্রাসার হেফজ (কোরআন শরিফ মুখস্ত করা) বিভাগে ভর্তি করান। গত ১০ অক্টোবর তিনি মেয়ের সঙ্গে মোবাইল কথা বলার সময় মেয়ে জানান, সে আর এই মাদ্রাসায় পড়বে না। কেন পড়বে না জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, মাদ্রাসার আজিজুর রহমান হুজুর খুব বেয়াদব।

বিষয়টি জানার পরদিন তিনি মেয়েকে মাদ্রাসা থেকে বাসায় নিয়ে আসেন। বাসায় আসার পর শিশুটি অস্বাভাবিক আচরণ ও কান্নাকাটি করতে থাকে।
কয়েকদিন পর সে কিছুটা স্বাভাবিক হলে জানায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার পরিচালক আজিজুর রহমান তাকে যৌন হয়রানি করাসহ একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করেন৷ কিন্তু শিশুটি কান্নাকাটি করায় তাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হন তিনি। তবে নিয়মিত যৌন হয়রানি করতে থাকেন। বড় হলে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাবে শিশুটি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন।

এদিকে নবালিকা শিশুর প্রতি হুজুরের পশুসুলভ আচরণের বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীর মা চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ কমপ্লেক্স সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তবে কমিটি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানির অভিযুক্ত মাওলানা আজিজুর রহমান পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, মাদ্রাসা পরিচালক আজিজুর রহমান আমার নাবালিকা মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছে। এছাড়া একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করে। তবে সে ভয়ে কান্নাকাটি করায় ধর্ষণ করতে পারেনি। ঘটনার পর আমার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমি চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ কমপ্লেক্স সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে অভিযুক্ত হুজুর পলাতক বলে শুনেছি।

যোগাযোগ করা হলে চান্দগাঁও থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মাইনুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিএম/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!