মদ পানে মৃত্যু, নাকি মারধরের অপমান সইতে না পেরে আত্মহনন

মিরসরাইয়ে মারধরের বিচার না পেয়ে অভিমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন কৃষ্ণ দেবনাথ (৪০) নামের এক অটোরিকশা চালক।

রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষ্ণ একই বাড়ির মৃত মধুসুদন নাথের ছেলে।

নিহত কৃষ্ণ দেবনাথের ছেলে সুব্রত দেবনাথ বলেন, গত ১৯ আগস্ট আমরা জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে ছিলাম। সন্ধ্যায় বাড়ি আসার পর শুনি বাবাকে এলাকার নিখিল দাশ ও হৃদয় নাথ প্রকাশ ভুক্কু নামে দুই ছেলে মারধর করেছে। এরপর বাবা আর ঘরে ফিরে আসেনি। কয়েকদিন আগে বাবার সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় আমরাও আর খোঁজখবর নেয়নি। মারধরের অপমান সইতে না পেরে গত রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে বাড়ির পাশে কালু ডাক্তারের বাগানে গিয়ে বিষপান করেন বাবা। পরে স্থানীয়দের খবরে বাবাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিয়ের ৮ মাস পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহননের পথে গেল যুবক

এদিকে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে নিহত কৃষ্ণ দেবনাথের বাড়িতে গেলে এলাকার বাসিন্দারা বলেন, কৃষ্ণকে মারধর করায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না। সরকারি দলের প্রভাবশালী এক নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নিখিল ও ভুক্কু এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছে। আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক।

এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শ্যামল দেওয়ানজি বলেন, মারা যাওয়া কৃষ্ণ নেশা করতেন, এলাকার মানুষ বিষয়টি জানেন। পরিবারের দায়িত্ব পালন করতেন না। গত শুক্রবার সকালে স্ত্রী থেকে ৫০০ টাকা ওষুধের জন্য নিয়ে মদ পান করে ঘরে এসে স্ত্রীকে মারধর করতে চান। এসময় নিখিল ও ভুক্কু এসে তাকে মারধর করে। মারধরের ঘটনা আমি সামাজিকভাবে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তার আগে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেন।

জোরারগঞ্জ থানা উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, ঘটনার পর পর আমি নিহতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জেনেছি কৃষ্ণ দেবনাথ মাদক সেবন করতেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলাও রয়েছে। মারা যাওয়ার ঘটনায় যদি পরিবারের কেউ মামলা করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!