মেয়র রেজাউলকে গুলি—ধরা পড়ল আরও ২ জন, প্রধান আসামি জামিনে

মিরসরাইয়ে বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামি ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ফেনী শহরের মিজান রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন: মেয়র রেজাউলকে গুলি, চেয়ারম্যান রিপনসহ ২০ জনের নামে মামলা

গ্রেপ্তাররা হলেন-মো. পলাশ (৩৫) ও মো. মাসুদ উদ্দিন (৩০)। তাঁরা দুজন ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের কলাতলী ও নইরাদপুর এলাকার বাসিন্দা। এর আগে শাকিল ও নুর আলম নামে এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৪-এ।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপন উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেওয়ার বিষয়টি গণ্যমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদুল হাসান বলেন, জেলা শহরের মিজান রোড থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. পলাশ ও মাসুদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শনিবার সকালে মো. শাকিল ও নুরুল আলম নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দুদিনে এ মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

যোগাযোগ করা হলে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন বলেন, শনিবার রাতে গ্রেপ্তার দুজনকে আজ (রোববার) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ফেনী করাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন: মেয়র রেজাউলের গায়ে গুলি, বালু তোলার দ্বন্দ্ব গড়াল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে ফেনী নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগ নেতা অশোক সেন, যুবলীগ নেতা সাঈদ খানসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার পরদিন শনিবার সকালে মেয়রের সহযোগী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!