‘ভুতুরে বাড়ি’ আনোয়ারার বীজাগার

আনোয়ারার ১১ ইউনিয়নের বীজাগার ভবনগুলো যেন ভুতের বাড়ি! কয়েক দশক ধরে অবহেলা-অযত্নে পড়ে আছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসব বীজাগার।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১৯৭০ সালের পরবর্তী সময়ে বিদেশি অর্থায়নে বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে নির্মিত হয় বীজাগারগুলো। তবে কৃষি অধিদপ্তরের উদাসীনতায় এসব বীজাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

স্থানীয় লোকজন জানান, বীজাগারগুলোর সবকটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কয়েক দশক ধরে। এগুলোর কোনোটি আবার প্রভাবশালী মহলের দখলে রয়েছে বছরের পর বছর। যারা বিভিন্ন অনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে রাষ্ট্রীয় সম্পদগুলো।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ৬ নং বারখাইন ইউনিয়নের বীজাগারটি একটি মহল নানা অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করে আসছে। এভাবে উপজেলার ৯ নং পরৈকোড়া ইউনিয়নের বীজাগারটি দেখলে মনে হয় ভুতুরে বাড়ি। গাছ আর লতাপাতায় আবদ্ধ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অধিকাংশ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বীজাগার। সাধারণ মানুষের অনেকে জানেই না বীজাগার ভবনগুলো কীসের দালান এবং কীজন্য ব্যবহার হয়।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, দখল-বেদখলে থাকা বীজাগারগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। সংস্কার করে এগুলোকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিজস্ব অফিস এবং কার্যলয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আমরা এই বিষয়ে জেলা অফিসের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কাজ শুরু করব।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!