জাটকা ধরতে সাগরে না যাওয়া জেলেরা ৪০ কেজি চাল পাবেন

জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেরা প্রতি মাসে পাবেন ৪০ কেজি চাল। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৪ মাস এই চাল দেওয়া হবে। এজন্য ৫৭ হাজার ৭৩৯ দশমিক ৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুস্থদের খাদ্য সহায়তা (ভিজিএফ) প্রকল্পের আওতায় এ চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিলের মধ্যে ভিজিএফের চাল উত্তোলন ও বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এসময়ে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থের অভাবে থাকেন। তাই নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৪ মাস জেলেদের মানবিক সহায়তা দেয় সরকার।

এরই ধারাবাহিকতায় এবারও চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ২০ জেলার ৯৭ উপজেলার ৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯টি জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিবে সরকার। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৪ মাস নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ২২ দিন সাগরে যেতে পারবে না জেলেরা, ইলিশ ধরা মানা

এদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা চট্টগ্রামের পাঁচ উপজেলা ও মহানগর এলাকার ১০ হাজার ৫১৫ জেলে পরিবারের জন্য ১ হাজার ৬৬২ দশমিক ৪ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাসের জন্য নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার লাভলী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, মিরসরাই উপজেলা ও মহানগর এলাকার জেলেদের জন্য ১ হাজার ৬৬২ দশমিক ৪ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকার মোট ১০ হাজার ৫১৫ জন জেলে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল পাবে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৪ মাস এই চাল বিতরণ করা হবে।

ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া অন্যান্য উপজেলাগুলো হলো- ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর উপজেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টঙ্গিবাড়ী ও গজারিয়া উপজেলা, ফরিদপুর জেলার সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা, রাজবাড়ি জেলার সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলা, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট উপজেলা, মাদারীপুর জেলার সদর, কালকিনি ও শিবচর উপজেলা, ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা, নোয়াখালী জেলার সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, রামগতি, রায়পুর ও কমলনগর উপজেলা, চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা, বাগেরহাট জেলার সদর, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, চিতলমারি, শরণখোলা ও কচুয়া উপজেলা, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, চৌহালি, বেলকুচি, কাজীপুর ও শাহজাদপুর উপজেলা, বরিশাল জেলার সদর, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী ও কাউখালী উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা ও দুমকি উপজেলা, ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলা, বরগুনা জেলার সদর, আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলা এবং ঝালকাঠি জেলার সদর, কাঠালিয়া, নলছিটি ও রাজাপুর।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!