চট্টগ্রামে পুলিশ খুন করা ৪ যুবকের জেল, ৩ জনই পলাতক

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এসএএফ শাখার নায়েক ফরিদ উদ্দিন খুনের দায়ে চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন আদালত।

রোববার (৭ মে) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞাঁর আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরের ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া জব্বার সওদাগর বাড়ির মৃত মনির আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিন রাজু (৩৬), হালিশহর রঙ্গীপাড়া টেকসি ফকিরের মাজার মতি ভাণ্ডারের বাড়ির আব্দুল মোনাফেক ছেলে মো. মাবুদ দুলাল (৩৫), বায়েজিদ থানার খন্দকিয়া হাট মাস্টার বাড়ির তপন দে’র ছেলে অর্জুন দে (২৮) ও কুমিল্লা দেবিদ্বার মিয়াকাজী বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে মো. মনির (৩১)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সিএমপির এসএএফ শাখার নায়েক ফরিদ উদ্দিন হত্যা মামলায় জসিম উদ্দিন রাজু, মাবুদ দুলাল ও অর্জুন দেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলার আসামি মো. মনিরকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রীকে হোটেলে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, সেই ওসি জেলে

তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় মাবুদ দুলাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে নগরের আগ্রাবাদ ব্যাংক কলোনি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেদিন অটোরিকশা চালক জাহেদুল ইসলাম ঘটনাস্থলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ফরিদ উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় গাড়িতে তুলে নেন। পরে আগ্রাবাদ মোড়ে এসে টহল পুলিশের একটি টিমকে ঘটনার বিবরণ দেন। এসময় টহল পুলিশ নায়েক ফরিদ উদ্দিনকে দ্রুত আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরদিন ১৪ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ পুলিশ ফাঁড়ির আমিনুল হক বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় একই বছরের ২৮ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

চার্জশিটে উল্লেখিত আসামি ছাড়াও মো. নাসির ও মো. রাজিব নগরের হালিশহরে পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে মারা যায়। পরে ময়নাতদন্তে উঠে আসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও ইনজেকশন পুশ করার কারণে নায়েক ফরিদ উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!