‘ক্লাস বন্ধ করলে তো আর পানি কমবে না’

অবিরাম বর্ষণে পাহাড় বেয়ে নেমে আসা পানিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছেলেদের তিনটি ছাত্রাবাস রয়েছে৷ এর মধ্যে বেশি আসন রয়েছে নগরের চটেশ্বরী সড়কের প্রধান ছাত্রাবাসে। সেখানে আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫০০। এই ছাত্রাবাসে দ্বিতীয় বর্ষ এবং চতুর্থ বর্ষের ছাত্ররা থাকেন।

এছাড়া নাছিরাবাদ এলাকা লুৎফুস সালাম ও হাফিজুল্লাহ বশির ছাত্রাবাসের আসন সংখ্যা ৮০টি। এ দুই ছাত্রাবাসে প্রথম বর্ষের ছাত্ররা থাকার সুযোগ পান।

টানা চারদিনের ভারি বর্ষণে রাস্তাঘাটের পাশাপাশি ছাত্রাবাসেও ঢুকে পড়েছে পানি। কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে।

নগরের গোয়াছি বাগান এলাকার প্রধান ছাত্রাবাসের থাকা চমেক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অপূর্ব সরকার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমাদের এখানে রাতে পাহাড় থেকে নেমে বৃষ্টির পানি রুমে ঢুকে পড়েছে। এতে ডব্লিউ ব্লক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সি ব্লকে পানিতে বাথরুম ভরে যাচ্ছে। বি ব্লকে কিছুটা পানি আছে কিন্তু এ ব্লক শুকনো রয়েছে৷

তিনি বলেন, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর পানি পরিষ্কার করেছে। কিন্তু বৃষ্টি না থামায় আবার পানি জমে যাচ্ছে। পানি মাড়িয়ে আমাদের ক্লাসে যেতে হচ্ছে। পানির কারণে পায়ের কয়েক জায়গায় ইনফেকশন হয়ে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, বৃষ্টি হলেই পানি জমছে। ভোগান্তি ছিল, এখন কিছুটা স্বাভাবিক।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ছাত্রাবাসে আমাদের ভাইস প্রিন্সিপাল, হোস্টেল কমিটির চেয়ারম্যান আছে। রোববার থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে পানি নিরসনের কাজ চলছে।

ক্লাস স্থগিত করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্লাস বন্ধ করলে তো আর পানি কমবে না। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও যাবে কোথায়?

এআইটি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!