কাঁচামরিচ—পাইকারি বাজারে ডাবল ডিজিট, খুচরায় ডাবল সেঞ্চুরি!

ভারত থেকে আমদানি বাড়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম প্রায় ৭২ শতাংশ কমেছে। তবে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। এ অবস্থায় দাম কমার সুফল পাচ্ছে না সাধারণ ক্রেতারা।

নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজির দেউরী, দেওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন জায়গার খুচরা বাজারগুলোতে সরেজমিনে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। এখনও বাড়তি দামের কারণে বেশিরভাগ ক্রেতা ১ পোয়ার (২৫০ গ্রাম) বেশি কাঁচামরিচ কিনছেন না। এজন্য তাদের গুণতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এদিকে নগরের পাইকারি বাজারে এর উল্টো চিত্র। কাঁচামরিচের বড় বাজার খ্যাত রিয়াজুদ্দীন বাজারের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে। খুচরা বাজারের এক পোয়া কাঁচা মরিচের দাম আর পাইকারি বাজারে এক কেজি মরিচের দাম প্রায় কাছাকাছি।

চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম ছিল সর্বোচ্চ। দেশে উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি আমদানি বন্ধ থাকায় এ সময় পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ২৫০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে যার দাম ঠেকেছিল ২৮০ থেকে ৩শ টাকা।

দামে লাগাম টানতে ৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ৬ আগস্ট শুরু হয় ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি। আমদানি বাড়ার ফলে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ বাড়ে। এতে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে প্রায় ৭২ শতাংশ দাম কমে যায়। কিন্তু এর বিপরীতে খুচরা বাজারে দাম কমে মাত্র ২৮ শতাংশ।

পাইকারি বাজারে ডাবল সেঞ্চুরি পার করা কাঁচামরিচের দাম নেমে বর্তমানে নেমে এসেছে ডাবল ডিজিটে। অথচ খুচরা বাজারে এ দর এখনও ডাবল সেঞ্চুরির আশপাশেই রয়েছে।

দেওয়ান হাট এলাকার আব্দুর রহিম নামে এক ক্রেতা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অনেকাংশ কমে এসেছে। অথচ বাজার করার সময় এখনও বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দ্রব্যটি। কোথাও প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, আবার কোথাও কেজিপ্রতি বিক্রি করছে ২০০ টাকা। ফলে আগে ১০ টাকা দিয়ে যে পরিমাণ মরিচ কিনতে পারতাম এখন তা কিনতে গুণতে হচ্ছে ৫০ টাকা। দেশে তো সব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলে। দাম কমানো-বাড়ানো তো তাদের ওপর নির্ভর করে। কারণে-অকারণে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়াটা দেশে এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়ে গেছে। পাইকারি হোক বা খুচরা ব্যবসায়ী, যে যার মতো অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়।

যোগাযোগ করা হলে কাঁচামরিচের আড়তদার প্রতিষ্ঠান এসএন ট্রেডার্সের মালিক জাহাঙ্গীর আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, দেশে সরবরাহ সংকটের পর কাঁচামরিচের দাম হুট করে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছিল। তবে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি পর থেকে তা অনেকাংশই কমে গেছে। এ মাসের শুরুর দিকেও যে মরিচ আমরা প্রতিকেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি করেছিলাম তা এখন বিক্রি করছি ৮০/৯০ টাকায়। আবার মরিচের মান ভেদে তা ৬০-৭০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।

জেএন/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!