লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যা করলেন এক দোকানদার

সন্তানকে মারধরের প্রতিবাদ করায় পেটে লাথি মেরে এক নারীর ৪ মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করলেন চা দোকানদার। মুমূর্ষ ওই নারী বর্তমানে হাসপাতালের বেডে শয্যাশায়ী।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩টায় নগরের বায়েজিদ থানার শেরশাহ মাইজপাড়া এলাকার আলী মিয়ার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে শনিবার (২৪ জুলাই) এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানদার মো. সোহেলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।

এর আগে রোববার (২৪ জুলাই) আহতের স্বামী মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি মামলা করেন।

গ্রেফতার সোহেল লক্ষীপুর জেলার রামগন্জ থানার কমলাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মসজিদ বাড়ি এলাকার মো. হানিফের ছেলে।

ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩টায় নগরের বায়েজিদ থানার শেরশাহ মাইজপাড়া এলাকার আলী মিয়ার কলোনির সালমা বেগমের আট বছর বয়সী ছেলেকে মারধর করে চা দোকানদার সোহেল। খবর পেয়ে শিশুর মা সালমা বেগম সন্তানকে মারধরের প্রতিবাদ করতে আসলে সোহেল তাকেও মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সালমা বেগমের পেটে সোহেল লাথি মারলে তিনি চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আহতের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যান সোহেল।

পরে খবর পেয়ে আহতের স্বামী রিকশা চালক ফারুক ঘটনাস্থলে এসে দেখেন তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। এ সময় স্ত্রীকে নিয়ে বায়েজিদ থানায় গেলে পুলিশ সালমা বেগমকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালের ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছে। তবে পেটে লাথি মারার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সালমার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত অন্তঃসত্ত্বা নারীকে থানায় নিয়ে আসার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!